ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

পুলিশকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জাতিসংঘের

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ১১:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৮ Time View

বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ ভাবে  আয়োজনের লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে এবার প্রেস নোট দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।

অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার ৪ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস  নোটে এই আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস নোটে বলা হয়েছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। যেখানে সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসশেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন।

বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন-প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে এসব অধিকার চর্চার প্রচেষ্টাকে দমিয়ে দিতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন শুধুমাত্র যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই বল প্রয়োগ করেন। আর সেক্ষেত্রেও এই বল প্রয়োগ হতে হবে বৈধ, সংযমের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে। এবং আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই যেন আগামী বছরের নির্বাচনের আগে যারা রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন তাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক বহুত্ব এবং ভিন্ন মতামত প্রকাশকে সম্মান জানাতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পুলিশকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জাতিসংঘের

Update Time : ১১:৪০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ ভাবে  আয়োজনের লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে এবার প্রেস নোট দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন।

অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার ৪ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) এক প্রেস  নোটে এই আহ্বান জানানো হয়।

প্রেস নোটে বলা হয়েছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। যেখানে সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসশেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন।

বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে। আবার আইন-প্রয়োগকারী সংগঠনের সদস্য পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়েছে। এসব সমাবেশের আগে ও সমাবেশের সময় বিরোধী দলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে এসব অধিকার চর্চার প্রচেষ্টাকে দমিয়ে দিতে না পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন শুধুমাত্র যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই বল প্রয়োগ করেন। আর সেক্ষেত্রেও এই বল প্রয়োগ হতে হবে বৈধ, সংযমের সঙ্গে এবং সংশ্লিষ্ট নীতি অনুসারে। এবং আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই যেন আগামী বছরের নির্বাচনের আগে যারা রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন তাদের সবার জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। তাদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে রাজনৈতিক বহুত্ব এবং ভিন্ন মতামত প্রকাশকে সম্মান জানাতে হবে।