ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

পাহাড়ি ঢলে সাজেকে আটকা ৩ শতাধিক পর্যটক

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্রগ্রাম ব্যুরো
  • Update Time : ০১:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৯৪ Time View

টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা এবং রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালি সড়ক, বাঘাইহাট বাজার সড়ক এবং মাচালং বাজার সড়ক ডুবে যায়। ফলে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর থেকে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সাজেকে আটকা পড়ে পর্যটকবাহী গাড়ি। এর মধ্যে আছে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি চাঁদের গাড়ি (জিপ), চারটি মাহিন্দ্রা।

সাজেকের সানচিটা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বশির আহাম্মদ রাজু বলেন, টানা বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যটক কমতে থাকে। গত দুদিন ধরে রিসোর্ট বুকিং বন্ধ আছে। বন্যা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আগত পর্যটকদের অধিকাংশ মঙ্গলবার সাজেক থেকে ফিরতে শুরু করেন। তবে বিকেলে ফেরার অপেক্ষারত প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার বলেন, জানতে পেরেছি সাজেকে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি চাঁদের গাড়ি, চারটি মাহিন্দ্রা আটকে পড়েছে। দীঘিনালা, বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকা প্লাবিত হওয়ায় তারা আটকা পড়ে। তাদের কোনোভাবে পার করার সুযোগ নেই।

ইউএনও আরও বলেন, আমি সার্বিক খোঁজ নিচ্ছি। রিসোর্ট মালিকদের বলে দেওয়া হয়েছে আটকে পড়া পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য। পাশাপাশি যাদের অগ্রিম বুকিং আছে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পাহাড়ি ঢলে সাজেকে আটকা ৩ শতাধিক পর্যটক

Update Time : ০১:২৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা এবং রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে সাজেকে বেড়াতে আসা তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীঘিনালা-সাজেক সড়কের কবাখালি সড়ক, বাঘাইহাট বাজার সড়ক এবং মাচালং বাজার সড়ক ডুবে যায়। ফলে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর থেকে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সাজেকে আটকা পড়ে পর্যটকবাহী গাড়ি। এর মধ্যে আছে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি চাঁদের গাড়ি (জিপ), চারটি মাহিন্দ্রা।

সাজেকের সানচিটা রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী বশির আহাম্মদ রাজু বলেন, টানা বর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যটক কমতে থাকে। গত দুদিন ধরে রিসোর্ট বুকিং বন্ধ আছে। বন্যা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আগত পর্যটকদের অধিকাংশ মঙ্গলবার সাজেক থেকে ফিরতে শুরু করেন। তবে বিকেলে ফেরার অপেক্ষারত প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার বলেন, জানতে পেরেছি সাজেকে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি চাঁদের গাড়ি, চারটি মাহিন্দ্রা আটকে পড়েছে। দীঘিনালা, বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকা প্লাবিত হওয়ায় তারা আটকা পড়ে। তাদের কোনোভাবে পার করার সুযোগ নেই।

ইউএনও আরও বলেন, আমি সার্বিক খোঁজ নিচ্ছি। রিসোর্ট মালিকদের বলে দেওয়া হয়েছে আটকে পড়া পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য। পাশাপাশি যাদের অগ্রিম বুকিং আছে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।