ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২ অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনির খালাস তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ-নির্যাতনে গ্রেপ্তার যুবক কারাগারে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:২০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৭ Time View

পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও এসময় উপস্থিত ছিলেন। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে রোববার আইওয়ান-ই-সদরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজী ফয়েজ ঈসার শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

কোরআন তেলাওয়াতের পর বিচারপতি ঈসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়।

পরে প্রেসিডেন্ট আলভি বিচারপতি ঈসাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় নতুন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সারিনা ইসাও তার পাশে ছিলেন।

কে এই বিচারপতি ঈসা?

১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর পাকিস্তানের কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। তিনি বেলুচিস্তানের পিশিন শহরের প্রয়াত কাজী মোহাম্মদ ঈসার ছেলে।

বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার বাবা পাকিস্তান আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

দ্য ডন বলছে, বিচারপতি ঈসার বাবা ছিলেন বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর বেলুচিস্তানে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন।

তার বাবা বেলুচিস্তান থেকে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বিচারপতি ঈসার মা বেগম সাইদা ঈসা একজন সমাজকর্মী ছিলেন এবং শিক্ষা, শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে এমন হাসপাতাল ও অন্যান্য দাতব্য সংস্থার বোর্ডে সম্মানসূচক পদে কাজও করেছিলেন তিনি।

কোয়েটায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর ইসা করাচিতে চলে যান এবং করাচি গ্রামার স্কুল (কেজিএস) থেকে তার ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল শেষ করেন।

এরপর তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে লন্ডনে যান এবং সেখানে তিনি ইনস অব কোর্ট স্কুল ল থেকে বার প্রফেশনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।

বিচারপতি ইসা ১৯৮৫ সালের ৩০ জানুয়ারি বেলুচিস্তান হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন।

তিনি পাকিস্তানের হাইকোর্ট, ফেডারেল শরীয়ত আদালত এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইন প্রাকটিস করেছেন।

তিনি বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।

বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাকে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে ডাকত এবং কিছু জটিল মামলায় তার সহায়তা গ্রহণ করত। তিনি আন্তর্জাতিক সালিশও পরিচালনা করেছেন।

বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা

Update Time : ০৬:২০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাকিস্তানের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির ২৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

ইসলামাবাদের আইওয়ান-ই-সদরে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার ও সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও এসময় উপস্থিত ছিলেন। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে রোববার আইওয়ান-ই-সদরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজী ফয়েজ ঈসার শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

কোরআন তেলাওয়াতের পর বিচারপতি ঈসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়।

পরে প্রেসিডেন্ট আলভি বিচারপতি ঈসাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় নতুন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সারিনা ইসাও তার পাশে ছিলেন।

কে এই বিচারপতি ঈসা?

১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর পাকিস্তানের কোয়েটায় জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। তিনি বেলুচিস্তানের পিশিন শহরের প্রয়াত কাজী মোহাম্মদ ঈসার ছেলে।

বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার বাবা পাকিস্তান আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

দ্য ডন বলছে, বিচারপতি ঈসার বাবা ছিলেন বেলুচিস্তান প্রদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর বেলুচিস্তানে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন।

তার বাবা বেলুচিস্তান থেকে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির একমাত্র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বিচারপতি ঈসার মা বেগম সাইদা ঈসা একজন সমাজকর্মী ছিলেন এবং শিক্ষা, শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করে এমন হাসপাতাল ও অন্যান্য দাতব্য সংস্থার বোর্ডে সম্মানসূচক পদে কাজও করেছিলেন তিনি।

কোয়েটায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর ইসা করাচিতে চলে যান এবং করাচি গ্রামার স্কুল (কেজিএস) থেকে তার ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল শেষ করেন।

এরপর তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে লন্ডনে যান এবং সেখানে তিনি ইনস অব কোর্ট স্কুল ল থেকে বার প্রফেশনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।

বিচারপতি ইসা ১৯৮৫ সালের ৩০ জানুয়ারি বেলুচিস্তান হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট এবং ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হন।

তিনি পাকিস্তানের হাইকোর্ট, ফেডারেল শরীয়ত আদালত এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ২৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইন প্রাকটিস করেছেন।

তিনি বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এবং পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।

বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাকে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে ডাকত এবং কিছু জটিল মামলায় তার সহায়তা গ্রহণ করত। তিনি আন্তর্জাতিক সালিশও পরিচালনা করেছেন।

বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।