ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুর থানার সফল অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি মহল

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ০৭:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৫৪ Time View

কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা হাটখোলা এলাকায় গত বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাট ক্ষেত খাওয়া কে কেন্দ্র করে ভুরকা হাটখোলা গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা ও ভেটু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা নামে দুই কৃষককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীয় আসামী সহ সন্দেহ মূলক আরো ৫ জন সর্বমোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে মামলার বাদী পক্ষ নারাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে মানববন্ধনে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ। এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ দাবি করেন দৌলতপুর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক রাকিব হাসান মামলাটি সঠিক তদন্ত করে কোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন। তারা আরো বলেন, দৌলতপুর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম থানায় যোগদানের পূর্বে দৌলতপুর থানায় তৎকালীন কর্মরত অফিসার ইনচার্জ থাকাকালীন একের পর এক খুন হতেই চলেছিল,তার বদলি হওয়ার পর দৌলতপুর থানায় যোগদান করেন অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম,তারপর থেকে দৌলতপুর থানায় খুন,গুম,ধর্ষণ এমন অপরাধের অনেকটাই অবসান ঘটেছে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করেন তারা।

দৌলতপুরের সর্বস্তরের জনগণ দাবি করেন, দৌলতপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আজ শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছে, আর এই শান্তি অব্যাহত রাখতে হলে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের কোন বিকল্প নেই।

তবে উক্ত বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান বলেন, বাদীপক্ষ ৩২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, উক্ত মামলায় আরো ২৬ জনকে অজ্ঞাত করে রাখা হয়, উক্ত মামলাতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই এমন ১০ জনকে পূর্ণ তদন্তে বাদ দেয়া হয়েছে, এর মাঝে ফিফটি ফোর এ চালান দেয়া হয় ৩ জনকে,১ জনের তদন্ত চলমান রয়েছে। এমনকি বাদী পক্ষের অনুরোধে এভিডেভিট এর ভিত্তিতে ১ জনকে মামলা থেকে পূর্ণ তদন্তে বাদ দেয়া হয়। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে,আদালতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি এমনটি জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

দৌলতপুর থানার সফল অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি মহল

Update Time : ০৭:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা হাটখোলা এলাকায় গত বছরের ১৪ জুন বিকেলে গরুতে পাট ক্ষেত খাওয়া কে কেন্দ্র করে ভুরকা হাটখোলা গ্রামের রহমত মালিথার ছেলে শরিফুল মালিথা ওরফে ভেলশ মালিথা ও ভেটু মালিথার ছেলে বজলু মালিথা নামে দুই কৃষককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহত বজলু মালিথার ছেলে নাহিদ হাসান।

পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জন এজাহার নামীয় আসামী সহ সন্দেহ মূলক আরো ৫ জন সর্বমোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে মামলার বাদী পক্ষ নারাজি জানিয়ে মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আদালতে আবেদন করেন।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে মানববন্ধনে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ। এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ দাবি করেন দৌলতপুর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক রাকিব হাসান মামলাটি সঠিক তদন্ত করে কোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন। তারা আরো বলেন, দৌলতপুর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম থানায় যোগদানের পূর্বে দৌলতপুর থানায় তৎকালীন কর্মরত অফিসার ইনচার্জ থাকাকালীন একের পর এক খুন হতেই চলেছিল,তার বদলি হওয়ার পর দৌলতপুর থানায় যোগদান করেন অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম,তারপর থেকে দৌলতপুর থানায় খুন,গুম,ধর্ষণ এমন অপরাধের অনেকটাই অবসান ঘটেছে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করেন তারা।

দৌলতপুরের সর্বস্তরের জনগণ দাবি করেন, দৌলতপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ আজ শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছে, আর এই শান্তি অব্যাহত রাখতে হলে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের কোন বিকল্প নেই।

তবে উক্ত বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হাসান বলেন, বাদীপক্ষ ৩২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন, উক্ত মামলায় আরো ২৬ জনকে অজ্ঞাত করে রাখা হয়, উক্ত মামলাতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় নাই এমন ১০ জনকে পূর্ণ তদন্তে বাদ দেয়া হয়েছে, এর মাঝে ফিফটি ফোর এ চালান দেয়া হয় ৩ জনকে,১ জনের তদন্ত চলমান রয়েছে। এমনকি বাদী পক্ষের অনুরোধে এভিডেভিট এর ভিত্তিতে ১ জনকে মামলা থেকে পূর্ণ তদন্তে বাদ দেয়া হয়। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে,আদালতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি এমনটি জানান তিনি।