ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সোয়া এক কিলো মিটার সড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগ

আবু সাঈদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
  • / ১০৯ Time View

নেই পিচ। সড়কে কাদাপানি, খানাখন্দ ভরা। গত প্রায় সাত বছরেরও বেশি সময় যাবত সড়কের এ অবস্থা হলেও গর্ত ভরাট করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী-বেড়াইদেরচাল-বেপারীবাড়ী-লিচু বাগান (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন) সড়কের বেহাল দশা। সোয়া এক কিলো মিটার এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ। গর্তে রিক্সা আটকে উল্টে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বেড়াইদরেচালা, দোখলা, মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী, কবরঘাটা, দক্ষিন বারতোপা গ্রামের বাসিন্দাসহ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোয়া এক কিলো মিটার ওই সড়কটি পৌরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। বর্তমানে সড়কটি যান চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মেয়র ও কাউন্সিলরদের বাসার গিয়ে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস পায়নি। তবে সোয়া এক কিলো মিটার সড়কের সংস্কারের জন্য আলাদাভাবে দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা।

সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১ টায় সরেজমিনে ওই সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কোনো পিচঢালাই নেই। স্থানে স্থানে খানা-খন্দ ও গর্তে কাদাপানি পানি জমে আছে। হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিক খোরশেদ আলম বলেন, প্রায় ১০/১৫ বছর আগে সড়কটি পাকা করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে ভাড়ী যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পানি জমে সড়কটি চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু পৌরসভার আওতাধীন দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন এ সড়কে চলাচলকারী পোশাক শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফা বেগম জানান, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সড়কের পুরোটাই ভাঙ্গা থাকার কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। অনেক শিক্ষার্থীরা হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে তাদের স্কুল ড্রেসে কাদা ও নোংরা পানি লেগে যায়। বাধ্য হয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা কেই কাদা জামা নিয়েই স্কুলে আসে, আবার কেই বাসায় গিয়ে ড্রেস পরিবর্তন করে স্কুলে আসতে হচ্ছে তাদের। এ সড়কের আশেপাশে ৫টি কওমী মাদ্রাসাসহ ৬টি বেসরাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্থানীয় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ সড়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না করায় বিকল্প সড়ক না থাকায় অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কের গর্তে বর্ষার পানি জমে কর্তমাক্ত হয়ে থাকায় অনেক সময় ভারী যানবাহন চলাচলে ওই পানি ছিটকে দোকোনে ও ক্রেতার গায়েও গিয়ে পড়ছে। হবে-হচ্ছে বলে স্থানীয় কাউন্সিলর বার বার আশ^াস দিলেও সংস্কারৎরের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি গত ৫/৭ বছরে।

গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী কাউসার, শামীমা, পারুল ও রুবেল জানান, ভাঙ্গা ও খানা-খন্দ ভড়া এ সড়কে দিয়ে প্রতিদিন আমাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় সড়কের গর্তের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ারম সময় যানবাহন চলাচল করলে ময়লা পানি ছিটকে জামা-কাপড়ে লেগে নষ্ট হয়ে যায়।

অটো রিক্সা চালক মফিজ উদ্দিন জানান, খানা-খন্দ ও ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে রিক্সা চালিয়ে প্রায়ই রিক্সা মেরামত করতে হয়। রিক্সার বিভিন্ন অংশ খুলে যায় সড়ক ভাঙ্গা থাকার কারণে। এতে করে রিক্সা চালিয়ে আমাদের যা আয় হয় তা রিক্সায় চলে যায়। ইনকাম আগের চেয়ে একেবারে কমে গেছে। এ সড়ক দিয়ে আগরে মতো লোকজন চলাচল করে না।

স্থানীয় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রেবেকা, জাহাঙ্গীর, খোরশেদ ও আকলিমাসহ তাদের সহকর্শরা বলেন, বর্ষার সময় এ সড়ক দিয়ে চলাচলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। রিক্সায় অফিসে যাওয়ার সময় ঝকুনি খেয়ে আমাদের হাতে থাকার খাবার বাটি ময়লা পানিতে পড়ে যায়। প্রায়ই এরকম ঘটান ঘটে থাকে।

ফার্মেসী ব্যবসায়ী আব্দুল হাই সিকাদর বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সড়ক সংস্কার না করায় দোকোনে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে ক্রেতা দোকানে আসতে চায় না। একটু দূরে গিয়েও তার নিরাপদে পণ্য বা ঔষুধ কিনে নিয়ে আসে। এতে করে আমরা সড়কের পাশের ব্যবাসয়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

চা বিক্রেতা ফারুক মিয়া বলেন, এ সড়কে দিয়ে আগে অনেক মানুষ যাতায়াত করত। কয়েকদিনের বর্ষায় সড়কের গর্তে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশি বৃষ্টি হলেও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসিন্দাদের।

ওই সড়কের পাশে বাড়ীর মালিক বেসরাকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবি খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, আমি নিজেই এ সড়কে দিয়ে চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন কাদা পানি মাড়িয়ে আমার অফিসে যেতে হয়। দীর্ঘদিন সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক ভাড়াটিয়া চলে গেছে। ইতোমধ্যে অনেক ভাড়াটিয়া বাসা ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে। সোয়া এক কিলো মিটার সড়কের জন্য আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: হাবিবুল্লাহ জানান, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী-বেড়াইদেরচাল-বেপারীবাড়ী-লিচু বাগান (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন) সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকায় পৌরসভার থেকে ইতোমদ্যে দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত ঠিকাদার ওই সড়কের সংস্কার কাজে হাত দিবেন।

শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকাবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সোয়া এক কিলো মিটার সড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগ

Update Time : ০৮:৪৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

নেই পিচ। সড়কে কাদাপানি, খানাখন্দ ভরা। গত প্রায় সাত বছরেরও বেশি সময় যাবত সড়কের এ অবস্থা হলেও গর্ত ভরাট করতে পৌরসভার পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী-বেড়াইদেরচাল-বেপারীবাড়ী-লিচু বাগান (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন) সড়কের বেহাল দশা। সোয়া এক কিলো মিটার এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দ। গর্তে রিক্সা আটকে উল্টে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বেড়াইদরেচালা, দোখলা, মাওনা ইউনিয়নের বেলতলী, কবরঘাটা, দক্ষিন বারতোপা গ্রামের বাসিন্দাসহ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোয়া এক কিলো মিটার ওই সড়কটি পৌরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। বর্তমানে সড়কটি যান চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা মেয়র ও কাউন্সিলরদের বাসার গিয়ে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস পায়নি। তবে সোয়া এক কিলো মিটার সড়কের সংস্কারের জন্য আলাদাভাবে দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা।

সোমবার (২৯ মে) বেলা ১১ টায় সরেজমিনে ওই সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে কোনো পিচঢালাই নেই। স্থানে স্থানে খানা-খন্দ ও গর্তে কাদাপানি পানি জমে আছে। হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন নাগরিক খোরশেদ আলম বলেন, প্রায় ১০/১৫ বছর আগে সড়কটি পাকা করা হয়। তারপর আস্তে আস্তে ভাড়ী যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পানি জমে সড়কটি চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। কিন্তু পৌরসভার আওতাধীন দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন এ সড়কে চলাচলকারী পোশাক শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফা বেগম জানান, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সড়কের পুরোটাই ভাঙ্গা থাকার কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। অনেক শিক্ষার্থীরা হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে তাদের স্কুল ড্রেসে কাদা ও নোংরা পানি লেগে যায়। বাধ্য হয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা কেই কাদা জামা নিয়েই স্কুলে আসে, আবার কেই বাসায় গিয়ে ড্রেস পরিবর্তন করে স্কুলে আসতে হচ্ছে তাদের। এ সড়কের আশেপাশে ৫টি কওমী মাদ্রাসাসহ ৬টি বেসরাকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্থানীয় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ সড়ক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি সংস্কার না করায় বিকল্প সড়ক না থাকায় অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সড়কের গর্তে বর্ষার পানি জমে কর্তমাক্ত হয়ে থাকায় অনেক সময় ভারী যানবাহন চলাচলে ওই পানি ছিটকে দোকোনে ও ক্রেতার গায়েও গিয়ে পড়ছে। হবে-হচ্ছে বলে স্থানীয় কাউন্সিলর বার বার আশ^াস দিলেও সংস্কারৎরের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি গত ৫/৭ বছরে।

গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী কাউসার, শামীমা, পারুল ও রুবেল জানান, ভাঙ্গা ও খানা-খন্দ ভড়া এ সড়কে দিয়ে প্রতিদিন আমাদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় সড়কের গর্তের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ারম সময় যানবাহন চলাচল করলে ময়লা পানি ছিটকে জামা-কাপড়ে লেগে নষ্ট হয়ে যায়।

অটো রিক্সা চালক মফিজ উদ্দিন জানান, খানা-খন্দ ও ভাঙ্গা সড়ক দিয়ে রিক্সা চালিয়ে প্রায়ই রিক্সা মেরামত করতে হয়। রিক্সার বিভিন্ন অংশ খুলে যায় সড়ক ভাঙ্গা থাকার কারণে। এতে করে রিক্সা চালিয়ে আমাদের যা আয় হয় তা রিক্সায় চলে যায়। ইনকাম আগের চেয়ে একেবারে কমে গেছে। এ সড়ক দিয়ে আগরে মতো লোকজন চলাচল করে না।

স্থানীয় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রেবেকা, জাহাঙ্গীর, খোরশেদ ও আকলিমাসহ তাদের সহকর্শরা বলেন, বর্ষার সময় এ সড়ক দিয়ে চলাচলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। রিক্সায় অফিসে যাওয়ার সময় ঝকুনি খেয়ে আমাদের হাতে থাকার খাবার বাটি ময়লা পানিতে পড়ে যায়। প্রায়ই এরকম ঘটান ঘটে থাকে।

ফার্মেসী ব্যবসায়ী আব্দুল হাই সিকাদর বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সড়ক সংস্কার না করায় দোকোনে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। ময়লা পানি মাড়িয়ে ক্রেতা দোকানে আসতে চায় না। একটু দূরে গিয়েও তার নিরাপদে পণ্য বা ঔষুধ কিনে নিয়ে আসে। এতে করে আমরা সড়কের পাশের ব্যবাসয়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

চা বিক্রেতা ফারুক মিয়া বলেন, এ সড়কে দিয়ে আগে অনেক মানুষ যাতায়াত করত। কয়েকদিনের বর্ষায় সড়কের গর্তে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশি বৃষ্টি হলেও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসিন্দাদের।

ওই সড়কের পাশে বাড়ীর মালিক বেসরাকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবি খন্দকার আসাদুজ্জামান বলেন, আমি নিজেই এ সড়কে দিয়ে চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন কাদা পানি মাড়িয়ে আমার অফিসে যেতে হয়। দীর্ঘদিন সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক ভাড়াটিয়া চলে গেছে। ইতোমধ্যে অনেক ভাড়াটিয়া বাসা ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে। সোয়া এক কিলো মিটার সড়কের জন্য আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমিজ উদ্দিন এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: হাবিবুল্লাহ জানান, গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী-বেড়াইদেরচাল-বেপারীবাড়ী-লিচু বাগান (বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন) সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকায় পৌরসভার থেকে ইতোমদ্যে দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত ঠিকাদার ওই সড়কের সংস্কার কাজে হাত দিবেন।

শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকাবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।