ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন আজমত উল্লা

Reporter Name
  • Update Time : ১০:১৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১১১ Time View

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ওই ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে আচরণবিধি প্রতিপালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি ইসিকে বলেছেন, আচরণ বিধিমালার ৫ ধারার ব্যাখ্যা তার জানা ছিল না। নিজের অজ্ঞাতসারে ওই ভুল করেছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি এসব কথা বলেন। তার এ বক্তব্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইসি। শুনানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যদিও শুনানির পর আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের বলেন, আমার জ্ঞাতসারে আমি নির্বাচন বিধিমালার কোনো লঙ্ঘন করিনি। আমি কমিশনে বলেছি, ভবিষ্যতেও আচরণবিধি ভঙ্গ হবে না। সে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছি।

অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে থাকেন সেজন্য তিনি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আমরা তার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। তার বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু তিনি সুন্দরভাবে তার বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য আমরা বিবেচনা করে দেখব। তার বিষয়ে ইসির রায় পরে জানানো হবে।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল আজমত উল্লা খানকে কমিশন তলব করে। এরপর গত ৪ মে তার বিরুদ্ধে আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। পরপর দুই ঘটনায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না-সে বিষয়ে গতকাল শুনানি করে ইসি। বেলা ৩টায় শুনানির সময় নির্ধারিত থাকলেও আড়াইটায় তিনি একাই ইসিতে আসেন। শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত তিনি ইসি সচিবের কক্ষে ছিলেন। পরে সেখান থেকে সরাসরি শুনানি কক্ষে যান। আধা ঘণ্টার বেশি শুনানি শেষে প্রথমে আজমত উল্লা ও পরে সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সূত্র জানায়, শুনানির শুরুতে ইসি সচিব আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পড়ে শোনান। গত ৪ মে আওয়ামী লীগের সভায় তার উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের ভোট চাওয়ায় আচরণবিধির ৫ ধারা ভাঙার বিষয়টি অবহিত করেন। পরে আজমত উল্লা বলেন, ওই ধারার ব্যাখ্যার বিষয়ে তার জানা ছিল না। আমি অজ্ঞাতসারে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দুঃখিত। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে আচরণবিধির কোনো ধারাই লঙ্ঘন করব না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে শোডাউন প্রসঙ্গে আজমত উল্লা খান বলেন, দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সেখানে ছিলেন। বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীও ছিলেন। আমি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মাইকে ঘোষণা দিয়েছি, আমার সঙ্গে পাঁচজনের বেশি যেতে পারবে না। সেটার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে।

এদিকে শুনানি থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের আজমত উল্লা খান বলেন, ইসি থেকে আমাকে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এতে যে ধারাগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল, আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

একজন প্রার্থী হিসাবে শুধু নয়, দেশের নাগরিক হিসাবে একটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আমার তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আমার কমিটমেন্ট, এই আচরণবিধি সম্পূর্ণ মেনে চলব। তার পর যে সিদ্ধান্ত আসবে তা মাথা পেতে নেব। মিছিলসহ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিস ইজ নট কারেক্ট। মিছিল নিয়ে গেয়েছি সেটা ঠিক নয়। আপনাদের বুঝতে হবে আমি পাঁচজন নিয়ে গিয়েছি। আপনারাই (সাংবাদিক) সেখানে ছিলেন কমপক্ষে দেড়শ। এবং সেদিন শুধু আমার মনোনয়নপত্রই জমা ছিল না। সেদিন কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল।

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভোট চাওয়ার বিষয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, আমি আমার অবস্থানটা তুলে ধরেছি। তারা যে সভা করেছেন, সেটা হয়তো অজ্ঞতার কারণে হতে পারে। এখন সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেবে। ওই সভা (গত ৪ মে) ভুলে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আচরণবিধির ৫, ৭ ও ১১ ধারাগুলোর লঙ্ঘনের কথা বলা হচ্ছে। যেহেতু মন্ত্রী সভায় গেছেন, সেটা তাকে যদি ডাকা হয়, তিনি তার ব্যাখ্যা দেবেন।

শুনানির বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনি (আজমত উল্লা) অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের ভুল কিছুটা অজ্ঞতাবশত হয়েছে। দু-একটা সভা হয়েছে সিটি নির্বাচন এলাকার বাইরে। তার বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন তার শোডাউনের বিষয়টি আমরা বড় করে দেখেছিলাম। উনি বলেছেন, সেদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। তাই কিছুসংখ্যক কাউন্সিলর তারা দলবল নিয়ে এসেছেন। যার ফলে একটা শোডাউনের মতো মনে হয়েছে। আমরা ওনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। তিনি আমাদের সহযোগিতা করার ও নির্বাচন আচরণবিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয় সেটা রক্ষার চেষ্টা করবেন।

তার বিষয়ে আর কোনো তদন্ত হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করব না। মন্ত্রী-এমপিদের ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, উনি (আজমত উল্লা) বলেছেন, যেখানে মন্ত্রী ছিলেন সেটা সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে। ভবিষ্যতে যেন এ রকম না হয় তা নিশ্চিত করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন আজমত উল্লা

Update Time : ১০:১৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ওই ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে আচরণবিধি প্রতিপালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তিনি ইসিকে বলেছেন, আচরণ বিধিমালার ৫ ধারার ব্যাখ্যা তার জানা ছিল না। নিজের অজ্ঞাতসারে ওই ভুল করেছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি এসব কথা বলেন। তার এ বক্তব্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইসি। শুনানি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যদিও শুনানির পর আজমত উল্লা খান সাংবাদিকদের বলেন, আমার জ্ঞাতসারে আমি নির্বাচন বিধিমালার কোনো লঙ্ঘন করিনি। আমি কমিশনে বলেছি, ভবিষ্যতেও আচরণবিধি ভঙ্গ হবে না। সে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছি।

অন্যদিকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যদি আচরণবিধি ভঙ্গ করে থাকেন সেজন্য তিনি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আমরা তার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। তার বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু তিনি সুন্দরভাবে তার বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য আমরা বিবেচনা করে দেখব। তার বিষয়ে ইসির রায় পরে জানানো হবে।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল আজমত উল্লা খানকে কমিশন তলব করে। এরপর গত ৪ মে তার বিরুদ্ধে আবারও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। পরপর দুই ঘটনায় তার প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না-সে বিষয়ে গতকাল শুনানি করে ইসি। বেলা ৩টায় শুনানির সময় নির্ধারিত থাকলেও আড়াইটায় তিনি একাই ইসিতে আসেন। শুনানি শুরুর আগ পর্যন্ত তিনি ইসি সচিবের কক্ষে ছিলেন। পরে সেখান থেকে সরাসরি শুনানি কক্ষে যান। আধা ঘণ্টার বেশি শুনানি শেষে প্রথমে আজমত উল্লা ও পরে সিইসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সূত্র জানায়, শুনানির শুরুতে ইসি সচিব আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পড়ে শোনান। গত ৪ মে আওয়ামী লীগের সভায় তার উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের ভোট চাওয়ায় আচরণবিধির ৫ ধারা ভাঙার বিষয়টি অবহিত করেন। পরে আজমত উল্লা বলেন, ওই ধারার ব্যাখ্যার বিষয়ে তার জানা ছিল না। আমি অজ্ঞাতসারে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দুঃখিত। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে আচরণবিধির কোনো ধারাই লঙ্ঘন করব না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে শোডাউন প্রসঙ্গে আজমত উল্লা খান বলেন, দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সেখানে ছিলেন। বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যমকর্মীও ছিলেন। আমি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে মাইকে ঘোষণা দিয়েছি, আমার সঙ্গে পাঁচজনের বেশি যেতে পারবে না। সেটার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে।

এদিকে শুনানি থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের আজমত উল্লা খান বলেন, ইসি থেকে আমাকে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এতে যে ধারাগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল, আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি।

একজন প্রার্থী হিসাবে শুধু নয়, দেশের নাগরিক হিসাবে একটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য আমার তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আমার কমিটমেন্ট, এই আচরণবিধি সম্পূর্ণ মেনে চলব। তার পর যে সিদ্ধান্ত আসবে তা মাথা পেতে নেব। মিছিলসহ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিস ইজ নট কারেক্ট। মিছিল নিয়ে গেয়েছি সেটা ঠিক নয়। আপনাদের বুঝতে হবে আমি পাঁচজন নিয়ে গিয়েছি। আপনারাই (সাংবাদিক) সেখানে ছিলেন কমপক্ষে দেড়শ। এবং সেদিন শুধু আমার মনোনয়নপত্রই জমা ছিল না। সেদিন কাউন্সিলরদের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছিল।

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভোট চাওয়ার বিষয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, আমি আমার অবস্থানটা তুলে ধরেছি। তারা যে সভা করেছেন, সেটা হয়তো অজ্ঞতার কারণে হতে পারে। এখন সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেবে। ওই সভা (গত ৪ মে) ভুলে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আচরণবিধির ৫, ৭ ও ১১ ধারাগুলোর লঙ্ঘনের কথা বলা হচ্ছে। যেহেতু মন্ত্রী সভায় গেছেন, সেটা তাকে যদি ডাকা হয়, তিনি তার ব্যাখ্যা দেবেন।

শুনানির বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উনি (আজমত উল্লা) অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের ভুল কিছুটা অজ্ঞতাবশত হয়েছে। দু-একটা সভা হয়েছে সিটি নির্বাচন এলাকার বাইরে। তার বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন তার শোডাউনের বিষয়টি আমরা বড় করে দেখেছিলাম। উনি বলেছেন, সেদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। তাই কিছুসংখ্যক কাউন্সিলর তারা দলবল নিয়ে এসেছেন। যার ফলে একটা শোডাউনের মতো মনে হয়েছে। আমরা ওনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। তিনি আমাদের সহযোগিতা করার ও নির্বাচন আচরণবিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয় সেটা রক্ষার চেষ্টা করবেন।

তার বিষয়ে আর কোনো তদন্ত হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে পুনরায় তদন্ত করব না। মন্ত্রী-এমপিদের ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, উনি (আজমত উল্লা) বলেছেন, যেখানে মন্ত্রী ছিলেন সেটা সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে। ভবিষ্যতে যেন এ রকম না হয় তা নিশ্চিত করবেন।