ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ নবনিযুক্ত ঢাবি ভিসির

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১১০ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২৯তম উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

তারপর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান
করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকলের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। এদেশের সকল অর্জনের পিছনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান রয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে উপাচার্য বলেন, গুণগত শিক্ষা, মৌলিক গবেষণা, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ভাবমূর্তি, সুনাম ও মযার্দা সমুন্নত রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে করে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ পান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিক্যাল ১১ (২) অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। 

এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ-সংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন। এ আদেশ ৪ নভেম্বর তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ঢাবি শিক্ষক সমিতির চারবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। দুই মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং ঢাবির আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়কের দায়িত্বেও ছিলেন নব নিযুক্ত এই উপাচার্য ।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ১৯৬৬ সালের ২১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম ফরিদ আহমেদ এবং মা মরহুমা মাছুমা খাতুন ছিলেন সমাজহিতৈষী ও বিদ্যানুরাগী। তার বাবা একজন সুপরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও ছিলেন। ড. মাকসুদ কামালের অগ্রজ সদ্যপ্রয়াত এ কে এম শাহজাহান কামাল বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং তিন মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ড. মাকসুদ কামালের স্ত্রী সৈয়দা আফসানা ফেরদৌসি একজন শিক্ষাবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) লিবারেল আর্টস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ভূতত্ত্বে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পরে নেদারল্যান্ডসের টোয়েন্টি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর জিও-ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড আর্থ অভজারভেশন থেকে অ্যাপ্লায়েড ইঞ্জিনিয়ারিং জিওলজি বিষয়ে মাস্টার্স করেন।

তিনি ২০০০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং একই বিভাগে ২০১০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজি থেকে ভূমিকম্পবিষয়ক প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলা এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণে তিনি শিক্ষাবিদ ও গবেষক হিসেবে দেশ-বিদেশে সুপরিচিত অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। তিনি একজন ভূমিকম্প ও সুনামি এবং নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। দেশি-বিদেশি জার্নালে তার ৬৫টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের বহু প্রকল্পে কারিগরি উপদেষ্টা বা বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার ।

Please Share This Post in Your Social Media

দায়িত্ব নিয়েই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ নবনিযুক্ত ঢাবি ভিসির

Update Time : ০৩:০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২৯তম উপাচার্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

তারপর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে নবনিযুক্ত উপাচার্যকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান
করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকলের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করায় অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। এদেশের সকল অর্জনের পিছনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য অবদান রয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে উপাচার্য বলেন, গুণগত শিক্ষা, মৌলিক গবেষণা, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, ভাবমূর্তি, সুনাম ও মযার্দা সমুন্নত রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে করে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপাচার্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষক ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগ পান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর আর্টিক্যাল ১১ (২) অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হলো। 

এ পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদ-সংশ্লিষ্ট অন্য সুবিধা ভোগ করবেন। এ আদেশ ৪ নভেম্বর তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ঢাবি শিক্ষক সমিতির চারবারের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। দুই মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং ঢাবির আওয়ামী পন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়কের দায়িত্বেও ছিলেন নব নিযুক্ত এই উপাচার্য ।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ১৯৬৬ সালের ২১ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম ফরিদ আহমেদ এবং মা মরহুমা মাছুমা খাতুন ছিলেন সমাজহিতৈষী ও বিদ্যানুরাগী। তার বাবা একজন সুপরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও ছিলেন। ড. মাকসুদ কামালের অগ্রজ সদ্যপ্রয়াত এ কে এম শাহজাহান কামাল বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং তিন মেয়াদে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ড. মাকসুদ কামালের স্ত্রী সৈয়দা আফসানা ফেরদৌসি একজন শিক্ষাবিদ এবং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) লিবারেল আর্টস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল ভূতত্ত্বে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পরে নেদারল্যান্ডসের টোয়েন্টি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর জিও-ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড আর্থ অভজারভেশন থেকে অ্যাপ্লায়েড ইঞ্জিনিয়ারিং জিওলজি বিষয়ে মাস্টার্স করেন।

তিনি ২০০০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং একই বিভাগে ২০১০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজি থেকে ভূমিকম্পবিষয়ক প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলা এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণে তিনি শিক্ষাবিদ ও গবেষক হিসেবে দেশ-বিদেশে সুপরিচিত অধ্যাপক মাকসুদ কামাল। তিনি একজন ভূমিকম্প ও সুনামি এবং নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। দেশি-বিদেশি জার্নালে তার ৬৫টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের বহু প্রকল্পে কারিগরি উপদেষ্টা বা বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার ।