ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

ঢাবি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ প্রত্যাহারের দাবি

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৭ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বিতর্কিত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের প্রত্যাহার করার মাধ্যমে চলমান বিতর্কের নিরসন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এটি না করা হলে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে নেমে আসবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাতিলের দাবি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আমাদের দাবি আমলে নেওয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীর মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা শুধু হিজড়াদেরকেই বোঝানো হয় না। বরং যারা নিজের খেয়াল খুশিমতো নিজেকে ছেলে/মেয়ে দাবি করবে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোটার অধিকারের পক্ষে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যদিও উপাচার্য বলছেন ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা তারা শুধু হিজড়াদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কিন্তু যেহেতু ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি শুধু হিজড়া নয়; যারা ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন বা নিজেকে খেয়াল-খুশি মতো ছেলে/মেয়ে দাবি করে বসে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। তাই এ ধরনের একটি শব্দকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অন্তর্ভুক্ত করা তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডারদের সমাজ ও সংস্কৃতি পরিপন্থি বিকৃত এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ প্রত্যাহারের দাবি

Update Time : ০৭:০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বিতর্কিত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের প্রত্যাহার করার মাধ্যমে চলমান বিতর্কের নিরসন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। এটি না করা হলে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে নেমে আসবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাতিলের দাবি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আমাদের দাবি আমলে নেওয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীর মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা শুধু হিজড়াদেরকেই বোঝানো হয় না। বরং যারা নিজের খেয়াল খুশিমতো নিজেকে ছেলে/মেয়ে দাবি করবে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোটার অধিকারের পক্ষে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যদিও উপাচার্য বলছেন ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা তারা শুধু হিজড়াদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কিন্তু যেহেতু ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি শুধু হিজড়া নয়; যারা ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন বা নিজেকে খেয়াল-খুশি মতো ছেলে/মেয়ে দাবি করে বসে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। তাই এ ধরনের একটি শব্দকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অন্তর্ভুক্ত করা তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডারদের সমাজ ও সংস্কৃতি পরিপন্থি বিকৃত এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া, আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।