ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ঢাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা আর মাত্র দুদিন

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৯ Time View

ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে ঢাকাবাসীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র দুদিন।

অর্থাৎ শহরের যানজট নিরসনে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চালু করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেটের অংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে আগেই নিশ্চিত করেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েটি।

ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের কার্যক্রম।

জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চললেও মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

চার ক্যাটাগরিতে চলাচল করা যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি-১ এ কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, ক্যাটাগরি-২ এ মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ক্যাটাগরি-৩ এ ট্রাক (৬ চাকার বেশি) ৪০০ টাকা, ক্যাটাগরি-৪ এ সকল ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ টোলহার কার্যকর হবে উদ্বোধন হওয়ার দিন থেকেই। নির্ধারিত অংশের যেকোনো স্থানে ওঠানামার ক্ষেত্রে এ টোলহার প্রযোজ্য হবে।

এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে।

প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

প্রথম ধাপে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭.৪৫ কিলোমিটার।

দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকিটা।

প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পের ভৌত কাজের দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পের ভৌত কাজের তৃতীয় ধাপে অগ্রগতি ৫.৬৭ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩.২০ শতাংশ। এতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ প্রতিদিন পরিদর্শন করছেন ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা আর মাত্র দুদিন

Update Time : ০৫:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

অবশেষে ঢাকাবাসীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। স্বপ্ন পূরণে অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র দুদিন।

অর্থাৎ শহরের যানজট নিরসনে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চালু করা হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেটের অংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশের উদ্বোধন করবেন বলে আগেই নিশ্চিত করেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়েটি।

ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের কাজ। উদ্বোধন উপলক্ষ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের কার্যক্রম।

জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহন চললেও মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

চার ক্যাটাগরিতে চলাচল করা যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি-১ এ কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, ক্যাটাগরি-২ এ মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ক্যাটাগরি-৩ এ ট্রাক (৬ চাকার বেশি) ৪০০ টাকা, ক্যাটাগরি-৪ এ সকল ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ টোলহার কার্যকর হবে উদ্বোধন হওয়ার দিন থেকেই। নির্ধারিত অংশের যেকোনো স্থানে ওঠানামার ক্ষেত্রে এ টোলহার প্রযোজ্য হবে।

এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে।

প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯.৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিলোমিটার।

প্রথম ধাপে কাওলা থেকে বনানী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৭.৪৫ কিলোমিটার।

দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত বাকিটা।

প্রকল্পের ভৌত কাজের প্রথম ধাপে ১৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পের ভৌত কাজের দ্বিতীয় ধাপে ১ হাজার ৬৩৩টি পাইল, ৩৩৫টি পাইল ক্যাপ, ৩২৩টি কলাম, ৩২০টি ক্রস বিম, ২ হাজার ৩০৫টি আই গার্ডার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার ৪৪টি আই গার্ডার এবং ২৩৩টি ব্রিজ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পের ভৌত কাজের তৃতীয় ধাপে অগ্রগতি ৫.৬৭ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩.২০ শতাংশ। এতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার।

এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

এ প্রকল্পটির নির্মাণকাজ প্রতিদিন পরিদর্শন করছেন ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা।