ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি বহিরাগত এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে দুজনের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ)বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সচিব আবু হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ দুই জনের সনদ বাতিল ও চারজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আবু হাসান বলেন,মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান ও ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর।

এদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও মুরাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং বহিষ্কৃত সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হল ত্যাগ না করলে অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

তিনি বলেন, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হল ত্যাগ না করলে তাদের অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে হলসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মোস্তাফিজুর ও বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুনের বিরুদ্ধে। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ১৫ কর্মদিবসের সময় বেঁধে দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণকাণ্ডে ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল

Update Time : ০৭:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি বহিরাগত এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে দুজনের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ)বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের সচিব আবু হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ দুই জনের সনদ বাতিল ও চারজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আবু হাসান বলেন,মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান ও ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর।

এদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও মুরাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং বহিষ্কৃত সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হল ত্যাগ না করলে অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

তিনি বলেন, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে, তাদের আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হল ত্যাগ না করলে তাদের অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে হলসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মোস্তাফিজুর ও বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুনের বিরুদ্ধে। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য ১৫ কর্মদিবসের সময় বেঁধে দিয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।