ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিন হয়নি মির্জা ফখরুলের

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯ Time View

ফাইল ফটো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিবের জামিন আবেদন আজ নাকচ হয়েছে।

আইনজীবী জানান, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১টি মামলা হয়েছিল বিএনপির মহাসচিবের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। আইনজীবী বলেন,প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে অন্তত ১৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন।

সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯ মামলায় জামিন পান তিনি।

গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা ফখরুলকে। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তাঁর আইনজীবীরা একাধিকবার আদালতে বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, যেকোনো বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।

এর মধ্যে বিএনপির ৭২ জন নেতার নাম উল্লেখ করে কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো. মোফিজুর রহমান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

বিএনপির ৫৯ জন নেতার নাম উল্লেখ করে রমনা মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো. সহিদুল ওসমান মাসুম। দুটি মামলাই করা হয় ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর।

২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জামিন হয়নি মির্জা ফখরুলের

Update Time : ০৮:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির মহাসচিবের জামিন আবেদন আজ নাকচ হয়েছে।

আইনজীবী জানান, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১টি মামলা হয়েছিল বিএনপির মহাসচিবের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। আইনজীবী বলেন,প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যে অন্তত ১৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন।

সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯ মামলায় জামিন পান তিনি।

গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় মির্জা ফখরুলকে। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তাঁর আইনজীবীরা একাধিকবার আদালতে বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, যেকোনো বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও কর্তব্যকাজে বাধা এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।

এর মধ্যে বিএনপির ৭২ জন নেতার নাম উল্লেখ করে কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো. মোফিজুর রহমান বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

বিএনপির ৫৯ জন নেতার নাম উল্লেখ করে রমনা মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো. সহিদুল ওসমান মাসুম। দুটি মামলাই করা হয় ঘটনার পরদিন ২৯ অক্টোবর।

২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।