ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২ অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনির খালাস তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ-নির্যাতনে গ্রেপ্তার যুবক কারাগারে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জবি নীল দলের

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০ Time View

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

সাধারণ শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হওয়ায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্মুন্নত রাখতে, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে সকল শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজস্ব প্রক্রিয়ায় আসন্ন ২০২৩-২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের দাবি জানান তারা।

লিখিত দাবিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৩ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যথাসময়ে আসন পূর্ণ করে একাডেমিক সেশন শুরু না হওয়াসহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাঙ্ক্ষিত মান ক্রমাগত নিম্নগামী বলে শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো আজও নিরসন হয়নি।

শিক্ষকরা বলেন, বিগত বছরের মতো ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতা হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে একাডেমিক সেশন শুরু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এতে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা কার্যক্রম।

সেই সাথে বিগত বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্তে অটল ছিল উল্লেখ করে তারা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ে “২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্তে” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শেষবারের মত অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এ বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সেই অভিপ্রায় রক্ষিত হয়নি।

নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরা জরুরি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছরের গুচ্ছভুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের সীমাবদ্ধতা দূর না হওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল” মনে করি আমাদেরও নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি।

প্রসঙ্গত এবছর ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে বলে প্রাথমিকভাবে সম্মতি থাকলেও সম্প্রতি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে বলে জানিয়েছেন। এর আগে গুচ্ছ থেকে বের হতে সংবাদ সম্মেলন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

Please Share This Post in Your Social Media

গুচ্ছ পদ্ধতি ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জবি নীল দলের

Update Time : ০৮:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

সাধারণ শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হওয়ায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্মুন্নত রাখতে, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে সকল শিক্ষকদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজস্ব প্রক্রিয়ায় আসন্ন ২০২৩-২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের দাবি জানান তারা।

লিখিত দাবিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিগত ৩ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যথাসময়ে আসন পূর্ণ করে একাডেমিক সেশন শুরু না হওয়াসহ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাঙ্ক্ষিত মান ক্রমাগত নিম্নগামী বলে শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো আজও নিরসন হয়নি।

শিক্ষকরা বলেন, বিগত বছরের মতো ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তি প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতা হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ফলে জুলাই ২০২৪ এর মধ্যে একাডেমিক সেশন শুরু করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। এতে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হারাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা কার্যক্রম।

সেই সাথে বিগত বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্তে অটল ছিল উল্লেখ করে তারা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ে “২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ হতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি প্রক্রিয়ার শর্তে” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় শেষবারের মত অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, এ বছর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সেই অভিপ্রায় রক্ষিত হয়নি।

নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফেরা জরুরি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বছরের গুচ্ছভুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের সীমাবদ্ধতা দূর না হওয়ায় একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল” মনে করি আমাদেরও নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি।

প্রসঙ্গত এবছর ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিবে বলে প্রাথমিকভাবে সম্মতি থাকলেও সম্প্রতি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিবে বলে জানিয়েছেন। এর আগে গুচ্ছ থেকে বের হতে সংবাদ সম্মেলন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।