ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৮:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ৮৫ Time View

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গত শনিবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার।

রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী, আমার দ্বারা আওয়ামী লীগে সুনাম ক্ষুন্ন হবে এমন কর্মকাণ্ড আমি কখনো করিনি বেঁচে থাকতে কখনোই করব না।

গত শনিবার পূর্ব চান্দুরা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যেটা কোন ভাবে কাম্য নয়। সেদিন আমি ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলাম। নেতা কর্মীদের ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যায় নিজ এলাকায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং আহতদের খোঁজ-খবর নেই। অথচ একটি কুচক্রী মহল ওই ঘটনায় আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে জড়িয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশকিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি ও ভিডিও ফুটেজে রামদা হাতে ওরা কারা…কার লোক ?

মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরা ধারণকৃত বেশ কয়েকটি ছবি হাতে নিয়ে রফিকুল ইসলাম তুষার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র হাতে কয়েকজন যুবকের যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তার একজনের নাম শরীফ, সে কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগ নেতা রফিক হত্যা মামলার আসামি। অপর আরেকজনের ইরাক তার বাড়ি হাবিবপুর। এঘটনা যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হতো তাহলে তারা দেশীয় এ সকল ধারালো অস্ত্র কোথায় পেল?

তিনি আরো বলেন, আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি যে স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন সেই স্থানে একজন বিএনপি নেতার বাড়ি। আমার প্রশ্ন তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে বিএনপির নেতার বাড়িতে কি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গিয়েছিলেন?

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমি সর্বোপরি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

আমার দলের কাছে অনুরোধ যারা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৮:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গত শনিবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার।

রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী, আমার দ্বারা আওয়ামী লীগে সুনাম ক্ষুন্ন হবে এমন কর্মকাণ্ড আমি কখনো করিনি বেঁচে থাকতে কখনোই করব না।

গত শনিবার পূর্ব চান্দুরা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যেটা কোন ভাবে কাম্য নয়। সেদিন আমি ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় ছিলাম। নেতা কর্মীদের ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সন্ধ্যায় নিজ এলাকায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং আহতদের খোঁজ-খবর নেই। অথচ একটি কুচক্রী মহল ওই ঘটনায় আমাকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। আমাকে জড়িয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশকিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি ও ভিডিও ফুটেজে রামদা হাতে ওরা কারা…কার লোক ?

মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরা ধারণকৃত বেশ কয়েকটি ছবি হাতে নিয়ে রফিকুল ইসলাম তুষার বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র হাতে কয়েকজন যুবকের যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তার একজনের নাম শরীফ, সে কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগ নেতা রফিক হত্যা মামলার আসামি। অপর আরেকজনের ইরাক তার বাড়ি হাবিবপুর। এঘটনা যদি পূর্ব পরিকল্পিত না হতো তাহলে তারা দেশীয় এ সকল ধারালো অস্ত্র কোথায় পেল?

তিনি আরো বলেন, আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি যে স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন সেই স্থানে একজন বিএনপি নেতার বাড়ি। আমার প্রশ্ন তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে বিএনপির নেতার বাড়িতে কি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে গিয়েছিলেন?

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমি সর্বোপরি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

আমার দলের কাছে অনুরোধ যারা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।