ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার হাসপাতালে জেনারেটর চলবে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:১৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৫৭ Time View

যতই দিন যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে।

গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, সেখানকার হাসপাতালগুলোর ইলেক্ট্রিক জেনারেট আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা চালু থাকতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গত কয়েকদিন ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব অভিযানে নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক ‍বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজায় ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও কোনো ধরনের জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। কিন্তু হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম চালু রাখার জন্য অবশ্যই জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দিকে জোর দেওয়া উচিত এবং এগুলো যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহের অনুমতি দিতে হবে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের প্রতি জোর দিতে জাতিসংঘ, রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গাজায় একের পর এক হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় সেখানে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এদিকে সোমবার খাবার, পানি এবং ওষুধ নিয়ে ত্রাণবাহী একটি ট্রাকের বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। শনিবার গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই মানবিক সহায়তায় জ্বালানি অন্তর্ভূক্ত হয়নি।

অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় এক রাতেই আরও কমপক্ষে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের অভিযানে আরও ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের এসব হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

টানা কয়েকদিন ধরেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজার হাসপাতালে জেনারেটর চলবে আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা

Update Time : ০৪:১৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

যতই দিন যাচ্ছে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে।

গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, সেখানকার হাসপাতালগুলোর ইলেক্ট্রিক জেনারেট আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা চালু থাকতে পারবে। এই সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করা না গেলে জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গত কয়েকদিন ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব অভিযানে নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরো মঙ্গলবার সকালে টেলিগ্রামে এক ‍বিবৃতিতে বলেন, গাজায় খুবই ধীর গতিতে মানবিক সহায়তা আসছে এবং এটা প্রকৃত অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।

তিনি বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল জ্বালানিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

গাজায় ইতোমধ্যেই কয়েক দফায় ত্রাণ সরবরাহ করা হলেও কোনো ধরনের জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। কিন্তু হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম চালু রাখার জন্য অবশ্যই জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দিকে জোর দেওয়া উচিত এবং এগুলো যত দ্রুত সম্ভব সরবরাহের অনুমতি দিতে হবে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের প্রতি জোর দিতে জাতিসংঘ, রেড ক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গাজায় একের পর এক হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় সেখানে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এদিকে সোমবার খাবার, পানি এবং ওষুধ নিয়ে ত্রাণবাহী একটি ট্রাকের বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। শনিবার গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর থেকে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই মানবিক সহায়তায় জ্বালানি অন্তর্ভূক্ত হয়নি।

অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় এক রাতেই আরও কমপক্ষে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের অভিযানে আরও ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের এসব হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

টানা কয়েকদিন ধরেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।