ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছয় প্রতারক গ্রেফতার

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ১৯৯ Time View

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চাকরির ভুয়া যোগদানপত্র প্রদান ও ভুয়া এন্টিক, পয়সা-পিলার প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক করা হয়েছে।

চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

কুষ্টিয়া জেলার মডেল থানাধীন সার্কিট হাউজের পাশে তিন রাস্তার মোড় নামক এলাকাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানিক দল।

অভিযুক্ত প্রতারকরা নিজেদের বিভিন্ন ডিফেন্স বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও ভুয়া যোগদানপত্র পাঠিয়ে এবং পুলিশ সদস্য পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জ্বালিয়াতি করে হাতিয়ে নিতেন।

এছাড়া গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করেন, আদিম যুগের পুরাতন পয়সা,ভুয়া এন্টিক পিলার ও তক্ষক(সাপ)বিষয়ে প্রতারনা করতেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলা সহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকাতে।

গ্রেপ্তারকৃত ছয়জন ব্যাক্তি হলেন, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী দাঁড়ের পাড়া গ্রামের ১/মৃত হাসেম উদ্দীনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য উল্লেখ্য প্রতারনা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাশিদুল ইসলাম মিলন(৩৩),

২/হোসেনাবাদ বড় মসজিদ পাড়া এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম মামুন(৩২),৩/

দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ফারাকপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান শিশির,৪/দৌলতপুর দাড়ের পাড়া এলাকার মৃত আমানুল্লার ছেলে সোহেল রানা,

৫/কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামের জগত আলী মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম(৫২),

৬/ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না উত্তরপাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে জামাল উদ্দিন(৩২)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, জালিয়াতির ও প্রতারনা করার কাজে ব্যবহৃত পয়সা সহ অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে জানায় অভিযানিক দল।

তথ্য পাওয়া যায় প্রতারিত লোকজন টাকা দেওয়ার পর চাকরিতে নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা না দিয়ে নানান তালবাহানা করে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার সহ নানানভাবে,হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

এই চক্রের হোতা রাশিদুল ইসলাম মিলন বিভিন্ন ব্যাক্তিকে সাজিয়ে,বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরে কথিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বানিয়ে ভাইভা নিতেন প্রতারিত প্রার্থী ব্যাক্তিদের।গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানাতে প্রতারনার মামলা রুজু হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা, মোঃ মাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিক নওরোজকে বলেন,আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার স্যার এর নির্দেশনা ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জন আসামিকে ধৃত করা হয়েছে। অপরাধী প্রতারক চক্র যত বড় বা যেই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রতারক চক্র যত বড়ই শক্তিশালী হোক-না-কেনো এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছয় প্রতারক গ্রেফতার

Update Time : ০১:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চাকরির ভুয়া যোগদানপত্র প্রদান ও ভুয়া এন্টিক, পয়সা-পিলার প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য আটক করা হয়েছে।

চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

কুষ্টিয়া জেলার মডেল থানাধীন সার্কিট হাউজের পাশে তিন রাস্তার মোড় নামক এলাকাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার বিশেষ অভিযানিক দল।

অভিযুক্ত প্রতারকরা নিজেদের বিভিন্ন ডিফেন্স বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও ভুয়া যোগদানপত্র পাঠিয়ে এবং পুলিশ সদস্য পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ জ্বালিয়াতি করে হাতিয়ে নিতেন।

এছাড়া গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো স্বীকার করেন, আদিম যুগের পুরাতন পয়সা,ভুয়া এন্টিক পিলার ও তক্ষক(সাপ)বিষয়ে প্রতারনা করতেন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলা সহ আশেপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকাতে।

গ্রেপ্তারকৃত ছয়জন ব্যাক্তি হলেন, কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী দাঁড়ের পাড়া গ্রামের ১/মৃত হাসেম উদ্দীনের ছেলে সাবেক সেনা সদস্য উল্লেখ্য প্রতারনা সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য রাশিদুল ইসলাম মিলন(৩৩),

২/হোসেনাবাদ বড় মসজিদ পাড়া এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম মামুন(৩২),৩/

দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ফারাকপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান শিশির,৪/দৌলতপুর দাড়ের পাড়া এলাকার মৃত আমানুল্লার ছেলে সোহেল রানা,

৫/কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামের জগত আলী মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম(৫২),

৬/ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না উত্তরপাড়া গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে জামাল উদ্দিন(৩২)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, জালিয়াতির ও প্রতারনা করার কাজে ব্যবহৃত পয়সা সহ অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে জানায় অভিযানিক দল।

তথ্য পাওয়া যায় প্রতারিত লোকজন টাকা দেওয়ার পর চাকরিতে নিয়োগ না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা না দিয়ে নানান তালবাহানা করে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার সহ নানানভাবে,হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

এই চক্রের হোতা রাশিদুল ইসলাম মিলন বিভিন্ন ব্যাক্তিকে সাজিয়ে,বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক পরে কথিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বানিয়ে ভাইভা নিতেন প্রতারিত প্রার্থী ব্যাক্তিদের।গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানাতে প্রতারনার মামলা রুজু হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা, মোঃ মাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিক নওরোজকে বলেন,আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার স্যার এর নির্দেশনা ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জন আসামিকে ধৃত করা হয়েছে। অপরাধী প্রতারক চক্র যত বড় বা যেই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রতারক চক্র যত বড়ই শক্তিশালী হোক-না-কেনো এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে।