ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে ভূমি দস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

সৈয়দপুর( নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ১১৮ Time View

Exif_JPEG_420

নীলফামারী কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের পূর্ব কাছারী পাড়ার ভূমিদস্যু আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার ৷ প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী ওই পরিবার বৃহস্পতিবার ১জুন দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমদাদুল হক দাবী করেন,তাঁর বাবা হোলাই সরকারের মোট ৯.৭৫ একর জমি ছিল ৷ বাবার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন ৷ প্রথম স্ত্রীর দু’সন্তান ও দুই মেয়ে ছিল ৷ দ্বিতীয় স্ত্রী ৩ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেন ৷ মৃত্যুর আগে মোট জমির মধ্যে ৪.৫৬ একর জমি এমদাদুল,একরামুল ও সহিদুল ইসলাম তিন ভাইয়ের নামে হেবা দলিল করে দেন ৷

অবশিষ্ট জমি রেখে হোলাই সরকার মৃত্যু বরণ করেন ৷ পরবর্তীতে অবশিষ্ট জমি দুই স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের ইউপি চেয়ারম্যান,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আইনজীবী দ্বারা বন্ঠক নামা করা হয় ৷ এভাবে ভালোই চলছিল কয়েক বছর ৷ কিন্তু প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমান তাদের অংশের কিছু জমি বিক্রি করে মারা যান ৷ অবশিষ্ট জমি তাদের ছেলেরা বিক্রি করেন ৷

যখন তাদের জমি শেষ হয়ে যায়,তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় ষড়যন্ত্র ৷ কিভাবে এমদাদুল,একরামুল গংদের জমি দখল করা যায় ৷ তারা সব সময় এই পরিবারটির উপর নির্যাতন শুরু করে দেয় ৷ বিনা কারণে গালিগালাজ মার ডাং করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে ৷ শুরু হয় চরম শক্রতা ৷

এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোআর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একাধিকবার মিমাংসা করলেও প্রতিপক্ষ কখনো মেনে নেয়নি ৷ তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না,মানে আইন আদালত ৷

এমদাদুল হক আরো বলেন,তারা নিজে জমির ফসল নষ্ট করে অন্যকে ফাসায় ৷ আমাদের দখলে থাকা পৈতিক সূত্রে পাওয়া ৪.৫৬ একর জমিসহ ক্রয় করা জমিতে গভীর রাতে মৃত আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমানের ছেলে নাতি যথাক্রমে আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানীর নেতৃত্বে সফিয়ার রহমান,শফিকুল,রফিকুল ইসলাম,অপিয়ার রহমান,সবুজ,সাবুল,দুদুল,মশিউর রহমান,সোহাগ হোসেন,জুয়েল,সোহেল,স্বাধীন,অলিয়ার,সেবু,মাসুম,টুলুসহ আরো নাম অজানা ২০/২৫ জন ভাড়াটে লোকসহ দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে ৷ তাদের ভয়ে এলাকার লোক মুখ খুলতে সাহস পায় না ৷ তারা সংখ্যায় বেশী হওয়ায় তারা এলাকার লোকের সাথে প্রায় ইচ্ছা করে ঝগড়া বিবাদ লাগায় ৷ আমি একবার তাদের দখলের চেষ্টার বাঁধা সৃষ্টি করি তারা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দেয় ৷ এ নিয়ে আমি মামলা দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৷ এছাড়া জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে ৷ যার মামলা নং-অন্য-১৩১/২০২২ ৷ মামলা করার পরও আমাদের পরিবার তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৷ তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি ৷

এব্যাপারে কথা হয় আবুল কাসেমের সাথে তিনি জানান, আমরা কোন মামলা করিনি ৷ তারাই ৫টি মামলা করেছে ৷ কয়েকটি মামলায় তারা হেরে গেছে ৷ আর আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট ৷ জমি আমাদের তাই আমরা চাষাবাদ করি ৷
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব সাহা জানান এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ৷ অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব৷

এবিষয়ে কথা হয় সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলমের সাথে। তিনি জানান,আমি বিষয়টি জানি এবং ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ৷ আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্যের মধ্যে হলেই যে কোন ঘটনা মিমাংসা করার ৷ তাই বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে এর সঠিক সমাধান করা হবে ৷

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে ভূমি দস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

নীলফামারী কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের পূর্ব কাছারী পাড়ার ভূমিদস্যু আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার ৷ প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী ওই পরিবার বৃহস্পতিবার ১জুন দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমদাদুল হক দাবী করেন,তাঁর বাবা হোলাই সরকারের মোট ৯.৭৫ একর জমি ছিল ৷ বাবার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন ৷ প্রথম স্ত্রীর দু’সন্তান ও দুই মেয়ে ছিল ৷ দ্বিতীয় স্ত্রী ৩ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেন ৷ মৃত্যুর আগে মোট জমির মধ্যে ৪.৫৬ একর জমি এমদাদুল,একরামুল ও সহিদুল ইসলাম তিন ভাইয়ের নামে হেবা দলিল করে দেন ৷

অবশিষ্ট জমি রেখে হোলাই সরকার মৃত্যু বরণ করেন ৷ পরবর্তীতে অবশিষ্ট জমি দুই স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের ইউপি চেয়ারম্যান,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আইনজীবী দ্বারা বন্ঠক নামা করা হয় ৷ এভাবে ভালোই চলছিল কয়েক বছর ৷ কিন্তু প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমান তাদের অংশের কিছু জমি বিক্রি করে মারা যান ৷ অবশিষ্ট জমি তাদের ছেলেরা বিক্রি করেন ৷

যখন তাদের জমি শেষ হয়ে যায়,তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় ষড়যন্ত্র ৷ কিভাবে এমদাদুল,একরামুল গংদের জমি দখল করা যায় ৷ তারা সব সময় এই পরিবারটির উপর নির্যাতন শুরু করে দেয় ৷ বিনা কারণে গালিগালাজ মার ডাং করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে ৷ শুরু হয় চরম শক্রতা ৷

এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোআর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একাধিকবার মিমাংসা করলেও প্রতিপক্ষ কখনো মেনে নেয়নি ৷ তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না,মানে আইন আদালত ৷

এমদাদুল হক আরো বলেন,তারা নিজে জমির ফসল নষ্ট করে অন্যকে ফাসায় ৷ আমাদের দখলে থাকা পৈতিক সূত্রে পাওয়া ৪.৫৬ একর জমিসহ ক্রয় করা জমিতে গভীর রাতে মৃত আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমানের ছেলে নাতি যথাক্রমে আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানীর নেতৃত্বে সফিয়ার রহমান,শফিকুল,রফিকুল ইসলাম,অপিয়ার রহমান,সবুজ,সাবুল,দুদুল,মশিউর রহমান,সোহাগ হোসেন,জুয়েল,সোহেল,স্বাধীন,অলিয়ার,সেবু,মাসুম,টুলুসহ আরো নাম অজানা ২০/২৫ জন ভাড়াটে লোকসহ দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে ৷ তাদের ভয়ে এলাকার লোক মুখ খুলতে সাহস পায় না ৷ তারা সংখ্যায় বেশী হওয়ায় তারা এলাকার লোকের সাথে প্রায় ইচ্ছা করে ঝগড়া বিবাদ লাগায় ৷ আমি একবার তাদের দখলের চেষ্টার বাঁধা সৃষ্টি করি তারা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দেয় ৷ এ নিয়ে আমি মামলা দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৷ এছাড়া জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে ৷ যার মামলা নং-অন্য-১৩১/২০২২ ৷ মামলা করার পরও আমাদের পরিবার তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৷ তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি ৷

এব্যাপারে কথা হয় আবুল কাসেমের সাথে তিনি জানান, আমরা কোন মামলা করিনি ৷ তারাই ৫টি মামলা করেছে ৷ কয়েকটি মামলায় তারা হেরে গেছে ৷ আর আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট ৷ জমি আমাদের তাই আমরা চাষাবাদ করি ৷
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব সাহা জানান এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ৷ অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব৷

এবিষয়ে কথা হয় সৈয়দপুর কিশোরগঞ্জ সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলমের সাথে। তিনি জানান,আমি বিষয়টি জানি এবং ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ৷ আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্যের মধ্যে হলেই যে কোন ঘটনা মিমাংসা করার ৷ তাই বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে এর সঠিক সমাধান করা হবে ৷