ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

কাঁচপুরে নির্মিত হচ্ছে বাস টার্মিনাল, ১৬ জেলার দূরপাল্লার বাস ঢুকবে না ঢাকায়

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৩:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৭০ Time View

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে প্রাথমিকভাবে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল।

বুধবার (৯ আগস্ট) আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।

এ বাস টার্মিনাল নির্মাণ শেষে ব্যবহার শুরু হলে ঢাকায় আর ঢুকবে না ১৬ জেলার দূরপাল্লার ১১ হাজার বাস। এতে ঢাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খান ও পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ছাড়াও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাস চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে জানান ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র তাপস বলেন, ১৯৮৪ সালে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর আর কেউ ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা নেই। নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ঢাকার বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার গণপরিবহন চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নগর পরিবহন সেবায় নিয়োজিত বাস শুধু চলাচল করবে। ঢাকায় যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাঁচপুর বাস টার্মিনালে এসে দূরপাল্লার বাসে সহজে উঠতে পারেন সেজন্য নগর পরিবহনের বাস সায়দাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে এবং নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার বাইরে ঢাকার চারপাশে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। তারই প্রথম উদ্যোগ কাঁচপুর বাস টার্মিনাল।

তিনি বলেন, আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টার্মিনালের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, চালক ও হেলপার কর্মচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করাসহ বাস টার্মিনালের বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ বিঘা জমির ওপর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে এতে।

ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে কোনো উদ্যোগের পাশে থাকবে বলে জানান সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে জায়গায় কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নিমিত হচ্ছে এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে।

এই বাসগুলো ঢাকায় বাইরে চলে এলে ঢাকায় যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফিরদৌস।

Please Share This Post in Your Social Media

কাঁচপুরে নির্মিত হচ্ছে বাস টার্মিনাল, ১৬ জেলার দূরপাল্লার বাস ঢুকবে না ঢাকায়

Update Time : ০৩:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে প্রাথমিকভাবে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হতে যাচ্ছে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল।

বুধবার (৯ আগস্ট) আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস।

এ বাস টার্মিনাল নির্মাণ শেষে ব্যবহার শুরু হলে ঢাকায় আর ঢুকবে না ১৬ জেলার দূরপাল্লার ১১ হাজার বাস। এতে ঢাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খান ও পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ছাড়াও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাস চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে জানান ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র তাপস বলেন, ১৯৮৪ সালে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর আর কেউ ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা নেই। নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ঢাকার বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার গণপরিবহন চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নগর পরিবহন সেবায় নিয়োজিত বাস শুধু চলাচল করবে। ঢাকায় যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাঁচপুর বাস টার্মিনালে এসে দূরপাল্লার বাসে সহজে উঠতে পারেন সেজন্য নগর পরিবহনের বাস সায়দাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে এবং নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার বাইরে ঢাকার চারপাশে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। তারই প্রথম উদ্যোগ কাঁচপুর বাস টার্মিনাল।

তিনি বলেন, আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে টার্মিনালের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, চালক ও হেলপার কর্মচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করাসহ বাস টার্মিনালের বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ বিঘা জমির ওপর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে এতে।

ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে কোনো উদ্যোগের পাশে থাকবে বলে জানান সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে জায়গায় কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নিমিত হচ্ছে এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে।

এই বাসগুলো ঢাকায় বাইরে চলে এলে ঢাকায় যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফিরদৌস।