ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনামুলসহ ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:০৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫ Time View

নির্বাচন শেষ হলেও কোন্দল শেষ হয়নি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। তাদের একটা অংশ যেমন দল মনোনীতপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তেমনি আরেক অংশ সক্রিয় ছিলেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষে। নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল পরাজিত হলে তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এরই মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করা ২৪ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্য আজাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সংসদ-সদস্য আজাদও উপস্থিত ছিলেন।

দল থেকে যাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল হক, সহসভাপতি আবদুল মালেক মণ্ডল, মতিউর রহমান, আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মকবুল হোসেন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আশিকুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিল কুমার সরকার, আজাহারুল হক, লুৎফর রহমান, জাহানারা বেগম, মমতাজ আক্তার, জাহিদুর রহমান ইকবাল, আইয়ুব আলী, আতাউর রহমান, জাফর আহম্মেদ, আবদুল জলিল, হাসান আলী, বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারিক, ঝিকড়ার আবদুল মানিক প্রামাণিক, বড় বিহানালীর রেজাউল করিম ও দ্বীপপুরের আবদুস সাত্তার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ নির্বাচনে এ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল হককে বাদ দিয়ে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বহিষ্কারের চূড়ান্ত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের শোকজ করা হয়েছিল। তারা শোকজের জবাব দেননি। ফলে তাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

অনিল কুমার সরকার বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। উপজেলা কমিটির নেতারা আমাকে বহিষ্কার করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে একমাত্র অব্যাহতি দিতে পারেন দলের সুপ্রিম কমান্ডার জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনে দেশের অনেক আসনেই দলীয় নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব বহিষ্কারের কোনো মূল্য নেই।

এদিকে অভিযোগে জানা গেছে, নির্বাচনে পর স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলার ঘটনা ঘটছে। স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এনামুলসহ ২৪ নেতাকর্মীকে বহিষ্কারের সুপারিশ

Update Time : ০৯:০৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নির্বাচন শেষ হলেও কোন্দল শেষ হয়নি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। তাদের একটা অংশ যেমন দল মনোনীতপ্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে তেমনি আরেক অংশ সক্রিয় ছিলেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষে। নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল পরাজিত হলে তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এরই মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করা ২৪ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্য আজাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকেও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সংসদ-সদস্য আজাদও উপস্থিত ছিলেন।

দল থেকে যাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল হক, সহসভাপতি আবদুল মালেক মণ্ডল, মতিউর রহমান, আফতাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মকবুল হোসেন মৃধা, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আশিকুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিল কুমার সরকার, আজাহারুল হক, লুৎফর রহমান, জাহানারা বেগম, মমতাজ আক্তার, জাহিদুর রহমান ইকবাল, আইয়ুব আলী, আতাউর রহমান, জাফর আহম্মেদ, আবদুল জলিল, হাসান আলী, বাসুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারিক, ঝিকড়ার আবদুল মানিক প্রামাণিক, বড় বিহানালীর রেজাউল করিম ও দ্বীপপুরের আবদুস সাত্তার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ নির্বাচনে এ আসনে সাবেক সংসদ-সদস্য এনামুল হককে বাদ দিয়ে তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারের নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় তাদের বহিষ্কারের চূড়ান্ত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্তক্রমে তাদের শোকজ করা হয়েছিল। তারা শোকজের জবাব দেননি। ফলে তাদের বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

অনিল কুমার সরকার বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। উপজেলা কমিটির নেতারা আমাকে বহিষ্কার করার কোনো ক্ষমতা রাখে না। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে একমাত্র অব্যাহতি দিতে পারেন দলের সুপ্রিম কমান্ডার জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনে দেশের অনেক আসনেই দলীয় নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব বহিষ্কারের কোনো মূল্য নেই।

এদিকে অভিযোগে জানা গেছে, নির্বাচনে পর স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর বেপরোয়া হামলার ঘটনা ঘটছে। স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আছেন।