ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৫ Time View

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে নিয়ে আর কেউ যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন আর ব্যাহত না হয়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ কোনো রকম ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। আমি শুধু সেইটুকু চাই, কেউ যেন আবার এই দেশকে কখনো পেছনে না নিতে পারে। আবার যেন রাজাকার খুনিদের দেশ যেন না বানায়।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের উন্নত সমৃদ্ধি স্মার্ট বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গঠন করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, তৃণমূলেও অগ্রগতি করা। বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারণে পরাজয়ের ভয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি কারণ তারা জানে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। একজন সামরিক স্বৈরশাসকের দ্বারা গঠিত দলটি সবসময় এজেন্সিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের সাহায্য ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। আর আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গত সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীরা অবাধে ভোট দিয়েছে। এবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না বসালে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আ.লীগ শাসনামলে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যেত। লুটেরা (বিএনপি) সব লুট করে নিতো।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত দলগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের আগেও বলেছে, আন্দোলন করে নাকি আমাদের সরকার উৎখাত করবে। তো আন্দোলন করতে করতে সরকার উৎখাত দূরের কথা, জনগণের ভোট যেন আরও কয়েকগুণ বেশি পেল (আওয়ামী লীগ)। এখন আবার হুমকি-ধমকি দিচ্ছ। আর আমাদের কিছু খুচরা পার্টি আছে তারা লাফায়।

শেখ হাসিনা বলেন, গণভবনে তো আপনারা যান। গণভবনে গরু ছাগল হাঁস মুরগি সব আছে, বাগান আছে, সবকিছু তৈরি হয়। তো আমার একটা ছাগলের তিনটা বাচ্চা হইছে। এখন দেখি দুইটা বাচ্চা দুধ খায়। আরেকটা তিড়িং বিড়িং করে শুধু লাফায়। আমাদের দেশেও রাজনৈতিক দল কিছু আছে। একজন যদি কথা বলে তো তারা তিড়িং বিড়িং করে লাফায়। কিন্তু আসলে কিছুই করতে পারে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, এখানে আরেক মজার ব্যাপার হচ্ছে, একেবারে অতি বাম অতি ডান তারা আবার একসঙ্গে হয়ে যায়। প্রশ্ন করলে বলে, আমরা তো একসঙ্গে হইনি। আরেক দিকে মুখ করে ছিলাম। কিন্তু আপনারা দেখেন, ওদিকে কমিউনিস্ট পার্টি এদিকে জামায়েত ইসলামী থেকে শুরু করে, সব আবার খুব আদর্শবাদী কথা, বিপ্লব করবে, সব হবে৷ বিপ্লব করতে করতে তারাও… হওয়ার পথে। আরেক দিকে বিএনপির অবস্থা তো আপনারা জানেনই।

বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফল সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি যে আমি দেশ এবং এর জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি। আমার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করেছে।

আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতাসহ সব কিছু পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।

আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখনই সুযোগ পাই জনগণের কল্যাণে কাজ করি। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, কারণ তারা প্রয়োজনে দলকে সবসময় পাশে পায়।

শেখ হাসিনা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান যে, তার সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। তার সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি এবং যার জন্য আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করেছে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়রও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ।

মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সরকার প্রধান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে : প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৮:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে নিয়ে আর কেউ যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন আর ব্যাহত না হয়। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেন কেউ কোনো রকম ষড়যন্ত্র করতে না পারে।

টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। আমি শুধু সেইটুকু চাই, কেউ যেন আবার এই দেশকে কখনো পেছনে না নিতে পারে। আবার যেন রাজাকার খুনিদের দেশ যেন না বানায়।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের উন্নত সমৃদ্ধি স্মার্ট বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গঠন করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, তৃণমূলেও অগ্রগতি করা। বিএনপির কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারণে পরাজয়ের ভয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি কারণ তারা জানে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। একজন সামরিক স্বৈরশাসকের দ্বারা গঠিত দলটি সবসময় এজেন্সিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের সাহায্য ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। আর আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গত সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীরা অবাধে ভোট দিয়েছে। এবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না বসালে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আ.লীগ শাসনামলে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যেত। লুটেরা (বিএনপি) সব লুট করে নিতো।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত দলগুলোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের আগেও বলেছে, আন্দোলন করে নাকি আমাদের সরকার উৎখাত করবে। তো আন্দোলন করতে করতে সরকার উৎখাত দূরের কথা, জনগণের ভোট যেন আরও কয়েকগুণ বেশি পেল (আওয়ামী লীগ)। এখন আবার হুমকি-ধমকি দিচ্ছ। আর আমাদের কিছু খুচরা পার্টি আছে তারা লাফায়।

শেখ হাসিনা বলেন, গণভবনে তো আপনারা যান। গণভবনে গরু ছাগল হাঁস মুরগি সব আছে, বাগান আছে, সবকিছু তৈরি হয়। তো আমার একটা ছাগলের তিনটা বাচ্চা হইছে। এখন দেখি দুইটা বাচ্চা দুধ খায়। আরেকটা তিড়িং বিড়িং করে শুধু লাফায়। আমাদের দেশেও রাজনৈতিক দল কিছু আছে। একজন যদি কথা বলে তো তারা তিড়িং বিড়িং করে লাফায়। কিন্তু আসলে কিছুই করতে পারে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, এখানে আরেক মজার ব্যাপার হচ্ছে, একেবারে অতি বাম অতি ডান তারা আবার একসঙ্গে হয়ে যায়। প্রশ্ন করলে বলে, আমরা তো একসঙ্গে হইনি। আরেক দিকে মুখ করে ছিলাম। কিন্তু আপনারা দেখেন, ওদিকে কমিউনিস্ট পার্টি এদিকে জামায়েত ইসলামী থেকে শুরু করে, সব আবার খুব আদর্শবাদী কথা, বিপ্লব করবে, সব হবে৷ বিপ্লব করতে করতে তারাও… হওয়ার পথে। আরেক দিকে বিএনপির অবস্থা তো আপনারা জানেনই।

বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমরা জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ফল সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় বৃথা যেতে দেবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং আমি ভাবি যে আমি দেশ এবং এর জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি। আমার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করেছে।

আওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতাসহ সব কিছু পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।

আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখনই সুযোগ পাই জনগণের কল্যাণে কাজ করি। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, কারণ তারা প্রয়োজনে দলকে সবসময় পাশে পায়।

শেখ হাসিনা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি জানান যে, তার সরকার সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। তার সরকার বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি এবং যার জন্য আমরা দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করেছে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়রও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ।

মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সরকার প্রধান।