ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভোলায় নতুন গ্যাস কূপ

ইলিশা-১ এ মজুত ২০০-২২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১১৫ Time View

ভোলায় নতুন গ্যাস কূপ ইলিশা-১ এ মজুত নির্ণয়ে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায়ও এসেছে সফলতা। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) ভূ-তত্ত্ব বিভাগের গবেষকরা। রোববার ভোরে ওই কূপে গ্যাসের মজুত জানতে দ্বিতীয় ড্রিল স্টেম ট্রেস্ট (ডিএসটি) শুরু হয়। এতে গ্যাসের চাপ সাড়ে ৩ হাজার পিএইচআই।

বাপেক্সের ভূতত্ত্ব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন জানান, দুটি স্তরেই গ্যাসের মজুত নিশ্চিত হয়েছে। এই কূপে মজুতের পরিমাণ হবে ২০০ থেকে ২২০ বিলিয়ন ঘনফুট। আগামী সপ্তাহে গ্যাস মজুতের পরিমাণ চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে।

৯ মার্চ ভোলার ইলিশা-১ কূপটি খনন কাজ শুরু করে রাশিয়ান গ্যাসপ্রম কোস্পানি। কূপের হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে গ্যাসের মজুত পাওয়া যায়। ২৮ এপ্রিল সকালে কূপে কী পরিমাণ গ্যাস তা আগুন প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। ড্রিল স্টেম ট্রেস্ট (ডিএসটি) কাজে রয়েছে বাপেক্স গবেষক দল। বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করে তা ব্যবহার করা যাবে। এটি ভোলা জেলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি জেলা সদরের তৃতীয় ও জেলার নবম কূপ। জেলায় বর্তমানে ৯টি কূপে গ্যাসের মজুত ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের বেশি।

সরকার ভোলা থেকে গ্যাস তরল করে সিলিন্ডারে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ব্যাপারে কয়েক দফা উচ্চ পর্যায়ের টিম ভোলার গ্যাস ক্ষেত্রগুলো পরিদর্শন করে।

এদিকে ভোলায় গ্যাসের মজুত নিশ্চিত ও একের পর এক কূপ খননের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। তারা এই গ্যাস আবাসিকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আগের ৮টি কূপে বিপুল পরিমাণ মজুত থাকলেও ভোলায় মাত্র ২ হাজার ৭শ’ পরিবার গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। নতুন সংযোগের জন্য ১০ হাজার আবেদন ঝুলে আছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্যাস সংকট দেখা দিলে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই আদেশের দোয়াই দিয়ে সুন্দরবন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি নতুন কোনো সংযোগ দিচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভোলার গ্যাস ভোলায় ব্যবহারের সুযোগ আগে দেওয়ার দাবিতে ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটি, ঘরে ঘরে গ্যাস চাই কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রয়েছে। দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ প্রসঙ্গে বাপেক্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোলার জন্য বিশেষ অনুমতি দেওয়া হলে সুন্দরবন কোম্পানি নতুন সংযোগ দিতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ভোলায় নতুন গ্যাস কূপ

ইলিশা-১ এ মজুত ২০০-২২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

Update Time : ০৯:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

ভোলায় নতুন গ্যাস কূপ ইলিশা-১ এ মজুত নির্ণয়ে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায়ও এসেছে সফলতা। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বাপেক্স) ভূ-তত্ত্ব বিভাগের গবেষকরা। রোববার ভোরে ওই কূপে গ্যাসের মজুত জানতে দ্বিতীয় ড্রিল স্টেম ট্রেস্ট (ডিএসটি) শুরু হয়। এতে গ্যাসের চাপ সাড়ে ৩ হাজার পিএইচআই।

বাপেক্সের ভূতত্ত্ব বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন জানান, দুটি স্তরেই গ্যাসের মজুত নিশ্চিত হয়েছে। এই কূপে মজুতের পরিমাণ হবে ২০০ থেকে ২২০ বিলিয়ন ঘনফুট। আগামী সপ্তাহে গ্যাস মজুতের পরিমাণ চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে।

৯ মার্চ ভোলার ইলিশা-১ কূপটি খনন কাজ শুরু করে রাশিয়ান গ্যাসপ্রম কোস্পানি। কূপের হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে গ্যাসের মজুত পাওয়া যায়। ২৮ এপ্রিল সকালে কূপে কী পরিমাণ গ্যাস তা আগুন প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়। ড্রিল স্টেম ট্রেস্ট (ডিএসটি) কাজে রয়েছে বাপেক্স গবেষক দল। বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ এমএমসিএফ গ্যাস উত্তোলন করে তা ব্যবহার করা যাবে। এটি ভোলা জেলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি জেলা সদরের তৃতীয় ও জেলার নবম কূপ। জেলায় বর্তমানে ৯টি কূপে গ্যাসের মজুত ২ ট্রিলিয়ন ঘনফুটের বেশি।

সরকার ভোলা থেকে গ্যাস তরল করে সিলিন্ডারে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ব্যাপারে কয়েক দফা উচ্চ পর্যায়ের টিম ভোলার গ্যাস ক্ষেত্রগুলো পরিদর্শন করে।

এদিকে ভোলায় গ্যাসের মজুত নিশ্চিত ও একের পর এক কূপ খননের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। তারা এই গ্যাস আবাসিকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আগের ৮টি কূপে বিপুল পরিমাণ মজুত থাকলেও ভোলায় মাত্র ২ হাজার ৭শ’ পরিবার গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। নতুন সংযোগের জন্য ১০ হাজার আবেদন ঝুলে আছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গ্যাস সংকট দেখা দিলে নতুন সংযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়। ওই আদেশের দোয়াই দিয়ে সুন্দরবন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি নতুন কোনো সংযোগ দিচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভোলার গ্যাস ভোলায় ব্যবহারের সুযোগ আগে দেওয়ার দাবিতে ভোলা স্বার্থরক্ষা উন্নয়ন কমিটি, ঘরে ঘরে গ্যাস চাই কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রয়েছে। দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এ প্রসঙ্গে বাপেক্স কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোলার জন্য বিশেষ অনুমতি দেওয়া হলে সুন্দরবন কোম্পানি নতুন সংযোগ দিতে পারবে।