ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরান খান ৮ দিনের রিমান্ডে

Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৭৫ Time View

আল-কাদরি ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান। সেই মামলায় বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে, আদালত ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনে প্রতিবেদনে জানায়, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এছাড়াও, আজ একটি দায়রা আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করেছে। উভয় শুনানি ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে হয়। মঙ্গলবার তাকে সেখানে নেয়ার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ‘এককালীন ব্যবস্থা’ হিসেবে সেটিকে আদালতের মর্যাদা দেয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।

শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে, এর বিরোধীতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস। আইনজীবী বলেন, আল-কাদরি ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি, এনএবি এখনও তদন্ত প্রতিবেদনও শেয়ার করেনি।’

খাজা হারিস বলেন, প্রত্যেকেরই সুষ্ঠু বিচারের অধিকার আছে। এই শুনানি একটি খোলা আদালতে হতে পারতো। আল-কাদরি ট্রাস্টের আওতায় যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেখানে বিনামূল্যে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

অন্যদিকে, এনএবির আইনজীবীর বলেন, যখন ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ দেখানো হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনের জবাবে এনএবির আইনজীবী বলেন, যথাযথ কাগজপত্র প্রয়োজনে জমা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি দুর্নীতির মামলা, যার প্রমাণ দিয়েছে বিট্রিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

শুনানির সময় ইমরান খান আদালতকে বলেন, যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন পরোয়ানা দেখানো হয়নি। ব্যুরোর অফিসে নেয়ার পর সেটি দেখানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে আমি বাথরুমে যাইনি। আমার একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

ইমরান খান ৮ দিনের রিমান্ডে

Update Time : ১০:০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

আল-কাদরি ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান। সেই মামলায় বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে, আদালত ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনে প্রতিবেদনে জানায়, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এছাড়াও, আজ একটি দায়রা আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে অভিযুক্ত করেছে। উভয় শুনানি ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে হয়। মঙ্গলবার তাকে সেখানে নেয়ার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ‘এককালীন ব্যবস্থা’ হিসেবে সেটিকে আদালতের মর্যাদা দেয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।

শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে, এর বিরোধীতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস। আইনজীবী বলেন, আল-কাদরি ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি, এনএবি এখনও তদন্ত প্রতিবেদনও শেয়ার করেনি।’

খাজা হারিস বলেন, প্রত্যেকেরই সুষ্ঠু বিচারের অধিকার আছে। এই শুনানি একটি খোলা আদালতে হতে পারতো। আল-কাদরি ট্রাস্টের আওতায় যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেখানে বিনামূল্যে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

অন্যদিকে, এনএবির আইনজীবীর বলেন, যখন ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন তাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ দেখানো হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনের জবাবে এনএবির আইনজীবী বলেন, যথাযথ কাগজপত্র প্রয়োজনে জমা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি দুর্নীতির মামলা, যার প্রমাণ দিয়েছে বিট্রিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

শুনানির সময় ইমরান খান আদালতকে বলেন, যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন পরোয়ানা দেখানো হয়নি। ব্যুরোর অফিসে নেয়ার পর সেটি দেখানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে আমি বাথরুমে যাইনি। আমার একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন।