ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদে সিলেটের রুমা চক্রবর্তী

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০১:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • / ৬১ Time View

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী। রুমা চক্রবর্তী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন সবসময়।

তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে এখন জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে আলোচনায় সিলেটের জনগন।

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ৯ নং মুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন রুমা রায় চৌধুরী। একেবারে প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে মিশে থাকাটাই ছিলো তার একমাত্র স্বপ্ন। তাইতো রাজনীতির মাঠে নানা প্রতিকুলতা পেছনে ফেলে কাজ করেছেন অদ্যম শক্তি নিয়ে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার কমিশনার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী (রুমা চক্রবর্তী)। এখন তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সিলেট বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে (২৮ ফেব্রুয়ারি) শপথ বাক্য পাঠ করেন।বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে প্রথমে রুমাসহ আওয়ামী লীগের ৪৮ জন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরের ধাপে জাতীয় পার্টির দুজন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। রুমা চত্রুবর্তী এমপি হওয়া অনেকেই চমক হিসেবে দেখছেন। সিলেটের ১৯টি সংসদীয় আসনে একমাত্র সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হলেন তিনি।

ইউপি সদস্য থেকে তিন এখন জাতীয় সংসদ।আলোচনার বাইরে থাকা রুমা চক্রবর্তী মুক্তিযুদ্ধে চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁর অস্থায়ী বেস হাসপাতালে নার্স হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের প্রথম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও কাজ করেছেন একেবারে তৃণমূলে। ১৯৯৭ সালে ৯নং মুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডের (৭,৮ ও ৯ ওয়ার্ড) সদস্যা হিসেবে নির্বাচিত হোন।

২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ানীবাজার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৫৬ সালের ৫ মার্চ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কালিগঞ্জের মৌজপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা রবীন্দ্র রায় চৌধুরী ও মাতা সরুজু বালা রায় চৌধুরীর পাঁচ কন্যার মধ্যে চতুর্থ। বাবা বরীন্দ্র রায় চৌধুরী সিলেট পৌরসভায় ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত (আমৃত্যু) এম.বি ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রুমা চক্রবর্তী একাত্তরে স্কুল ছাত্রী ছিলেন। দেশের টানে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন তিনি৷ এছাড়া আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করেন এই সাহসী নারী৷ ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য রমেন্দ্র চক্রবর্তীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

Please Share This Post in Your Social Media

ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদে সিলেটের রুমা চক্রবর্তী

Update Time : ০১:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী। রুমা চক্রবর্তী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন সবসময়।

তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে এখন জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে আলোচনায় সিলেটের জনগন।

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ৯ নং মুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন রুমা রায় চৌধুরী। একেবারে প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে মিশে থাকাটাই ছিলো তার একমাত্র স্বপ্ন। তাইতো রাজনীতির মাঠে নানা প্রতিকুলতা পেছনে ফেলে কাজ করেছেন অদ্যম শক্তি নিয়ে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার কমিশনার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা রায় চৌধুরী (রুমা চক্রবর্তী)। এখন তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সিলেট বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে (২৮ ফেব্রুয়ারি) শপথ বাক্য পাঠ করেন।বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে প্রথমে রুমাসহ আওয়ামী লীগের ৪৮ জন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরের ধাপে জাতীয় পার্টির দুজন এমপিকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। রুমা চত্রুবর্তী এমপি হওয়া অনেকেই চমক হিসেবে দেখছেন। সিলেটের ১৯টি সংসদীয় আসনে একমাত্র সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হলেন তিনি।

ইউপি সদস্য থেকে তিন এখন জাতীয় সংসদ।আলোচনার বাইরে থাকা রুমা চক্রবর্তী মুক্তিযুদ্ধে চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁর অস্থায়ী বেস হাসপাতালে নার্স হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের প্রথম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও কাজ করেছেন একেবারে তৃণমূলে। ১৯৯৭ সালে ৯নং মুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ডের (৭,৮ ও ৯ ওয়ার্ড) সদস্যা হিসেবে নির্বাচিত হোন।

২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ানীবাজার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৫৬ সালের ৫ মার্চ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কালিগঞ্জের মৌজপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা রবীন্দ্র রায় চৌধুরী ও মাতা সরুজু বালা রায় চৌধুরীর পাঁচ কন্যার মধ্যে চতুর্থ। বাবা বরীন্দ্র রায় চৌধুরী সিলেট পৌরসভায় ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত (আমৃত্যু) এম.বি ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রুমা চক্রবর্তী একাত্তরে স্কুল ছাত্রী ছিলেন। দেশের টানে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন তিনি৷ এছাড়া আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করেন এই সাহসী নারী৷ ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য রমেন্দ্র চক্রবর্তীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।