ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

আমার জানা মতে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৮০ Time View

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমার জানা মতে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে না। কারণ, পুলিশকে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে এসেছি।

আমাদের নিজস্ব সরকারি মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। কিছু হলে কমিশন আমাদের জানায়। কিন্তু পুলিশের বিষয়ে কমিশন কোনোদিনই জানায়নি যে, পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে।

শনিবার ৫ আগস্ট একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের না করার আহ্বান প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে অবিলম্বে দেশের বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের আচরণ নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

একই সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন প্রেস নোটে বলা হয়েছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। যেখানে সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসশেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খেয়াল করলে দেখা যায় যে, আমাদের পুলিশের চেয়ে বিভিন্ন দেশের পুলিশ আরও বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আমাদের দেশের পুলিশ অতীতে ১৫-২০ বছর আগে কি করেছে তার সঙ্গে বর্তমান পুলিশের কোনো সাদৃশ্য পাওয়া যাবে না। আমাদের পুলিশ এখন সুসংহত। সবসময় মানবাধিকার সামনে রেখেই কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে সারদায় ও পুলিশ কলেজে ট্রেনিং দেয়া হয়। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও পুলিশ স্টাফ কলেজ সংযুক্ত রয়েছে। কাজেই পুলিশের যত ধরণের ট্রেনিংয়ই রয়েছে, মানবাধিকার বলুন, ক্রিমোনলজি বলুন, সবকিছুতেই আধুনিক পুলিশ করার চেষ্টা চলছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য সীমালঙ্ঘন করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। আপনারা জানেন ডিআইজি সহ উর্ধতন পুলিশও জেলে আছ্ যারা ক্রাইম করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আমার জানা মতে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমার জানা মতে পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে না। কারণ, পুলিশকে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে এসেছি।

আমাদের নিজস্ব সরকারি মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। কিছু হলে কমিশন আমাদের জানায়। কিন্তু পুলিশের বিষয়ে কমিশন কোনোদিনই জানায়নি যে, পুলিশ অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে।

শনিবার ৫ আগস্ট একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের না করার আহ্বান প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে অবিলম্বে দেশের বিক্ষোভকারীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া বিরোধী দলের প্রতি পুলিশের আচরণ নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

একই সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন প্রেস নোটে বলা হয়েছে, পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিরোধী দলগুলোর বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংস হামলা দেখা গেছে। যেখানে সমাবেশগুলোতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসশেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। পুলিশের পাশাপাশি কিছু সাধারণ পোশাকধারীদেরও বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট এবং লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এসব সংঘর্ষে অনেক বিরোধী দলীয় সমর্থক ও কিছু পুলিশ আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খেয়াল করলে দেখা যায় যে, আমাদের পুলিশের চেয়ে বিভিন্ন দেশের পুলিশ আরও বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আমাদের দেশের পুলিশ অতীতে ১৫-২০ বছর আগে কি করেছে তার সঙ্গে বর্তমান পুলিশের কোনো সাদৃশ্য পাওয়া যাবে না। আমাদের পুলিশ এখন সুসংহত। সবসময় মানবাধিকার সামনে রেখেই কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশকে সারদায় ও পুলিশ কলেজে ট্রেনিং দেয়া হয়। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও পুলিশ স্টাফ কলেজ সংযুক্ত রয়েছে। কাজেই পুলিশের যত ধরণের ট্রেনিংয়ই রয়েছে, মানবাধিকার বলুন, ক্রিমোনলজি বলুন, সবকিছুতেই আধুনিক পুলিশ করার চেষ্টা চলছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্য সীমালঙ্ঘন করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। আপনারা জানেন ডিআইজি সহ উর্ধতন পুলিশও জেলে আছ্ যারা ক্রাইম করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়।