ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপনারা ঢাকার বাইরে যান, সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেবো:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৫৪ Time View

ছবিঃ সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে সেবা দিলে তাদের সব সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশান হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স কর্তৃক আয়োজিত ১০তম জাতীয় নিউরোলজি কনফারেন্সে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ডাক্তারদের উদ্দেশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আপনাদের গ্রামে যেতে হবে। ঢাকার বাইরে যেতে হবে। এটাও মনে করি, প্রত্যেকের জীবনে একটা ‘ইনসেনটিভ’ থাকা দরকার। আপানারা ঢাকার বাইরে যান, প্রমোশন সুযোগ-সুবিধা আমি দেখব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা অনুরোধ আপনাদের রাখতে হবে। আপনাদের গ্রামে (ঢাকার বাইরে) যেতে হবে। আমি বলছি, আপনারা যারা ঢাকার বাইরে কাজ করবেন, তাদের ইনটেনসিভ অবশ্যই দেয়া হবে। ঢাকার বাইরে কাজ করা ডাক্তারদের পদোন্নতি, বিদেশ যাওয়ার সুযোগসহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। শুধু একটাই বিশেষ অনুরোধ, আপনারা ঢাকার বাইরে যান। সারাজীবন ঢাকার বাইরে থাকতে হবে না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই একটা ইনসেনটিভ ও নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবেন, তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি চিকিৎসকদের সুবিধা যেমন দিব, চিকিৎসকদেরকেও রোগীদেরকে সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে শুধু সেবা দিক, আমি তাদের সব সুবিধা বাড়িয়ে দিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের নানা রকম সমস্যা ও প্রতিকূলতা যে আছে তা আমি জানি। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা তো দিতে হবে। সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন যে, তার এলাকায় চিকিৎসক থাকে না। যেখানেই যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না বলে শুনতে পাই। এগুলো তো ভালো কথা না।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা হাসপাতালে যদি ডাক্তার থাকতে না চায়, তাহলে গ্রামের মানুষ কোথা থেকে ভালো চিকিৎসা পাবে। আমি বারবার বলেছি, চিকিৎসাখাতে সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুট লেভেল পর্যন্ত ভালো চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউরো হাসপাতালকে ৩০০ বেড থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ বেডে নিয়ে এসেছেন। নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা এখন বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনার যোগ্য করে তুলেছেন। দিন দিন নিউরো রোগীদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘চিকিৎসকদের উন্নত সেবা দিতে হলে ভালো মানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই পড়তে হবে। চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে চিকিৎসকদের আরও কাজ করতে হবে, নতুন নতুন চিকিৎসা গবেষণায় মন দিতে হবে।’

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মো. বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটুমিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সোসাইটি অব নিরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসির রিজভী।

Please Share This Post in Your Social Media

আপনারা ঢাকার বাইরে যান, সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেবো:স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে সেবা দিলে তাদের সব সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশান হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরো সার্জন্স কর্তৃক আয়োজিত ১০তম জাতীয় নিউরোলজি কনফারেন্সে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ডাক্তারদের উদ্দেশ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, আপনাদের গ্রামে যেতে হবে। ঢাকার বাইরে যেতে হবে। এটাও মনে করি, প্রত্যেকের জীবনে একটা ‘ইনসেনটিভ’ থাকা দরকার। আপানারা ঢাকার বাইরে যান, প্রমোশন সুযোগ-সুবিধা আমি দেখব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা অনুরোধ আপনাদের রাখতে হবে। আপনাদের গ্রামে (ঢাকার বাইরে) যেতে হবে। আমি বলছি, আপনারা যারা ঢাকার বাইরে কাজ করবেন, তাদের ইনটেনসিভ অবশ্যই দেয়া হবে। ঢাকার বাইরে কাজ করা ডাক্তারদের পদোন্নতি, বিদেশ যাওয়ার সুযোগসহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। শুধু একটাই বিশেষ অনুরোধ, আপনারা ঢাকার বাইরে যান। সারাজীবন ঢাকার বাইরে থাকতে হবে না। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই একটা ইনসেনটিভ ও নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা চিকিৎসা সেবা দিতে যাবেন, তাদের জন্য কী কী ইনসেনটিভ রাখা যায় সেগুলো নিয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি চিকিৎসকদের সুবিধা যেমন দিব, চিকিৎসকদেরকেও রোগীদেরকে সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকরা গ্রামে গিয়ে মানুষকে শুধু সেবা দিক, আমি তাদের সব সুবিধা বাড়িয়ে দিব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের নানা রকম সমস্যা ও প্রতিকূলতা যে আছে তা আমি জানি। কিন্তু মানুষকে চিকিৎসা তো দিতে হবে। সংসদ সদস্যরা আমাকে বলেন যে, তার এলাকায় চিকিৎসক থাকে না। যেখানেই যাই সেখানেই হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না বলে শুনতে পাই। এগুলো তো ভালো কথা না।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলা হাসপাতালে যদি ডাক্তার থাকতে না চায়, তাহলে গ্রামের মানুষ কোথা থেকে ভালো চিকিৎসা পাবে। আমি বারবার বলেছি, চিকিৎসাখাতে সুনাম ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের রুট লেভেল পর্যন্ত ভালো চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে হবে। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউরো হাসপাতালকে ৩০০ বেড থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ বেডে নিয়ে এসেছেন। নিউরো হাসপাতালের সক্ষমতা এখন বিশ্বের যেকোনো উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনার যোগ্য করে তুলেছেন। দিন দিন নিউরো রোগীদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘চিকিৎসকদের উন্নত সেবা দিতে হলে ভালো মানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই পড়তে হবে। চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিতে চিকিৎসকদের আরও কাজ করতে হবে, নতুন নতুন চিকিৎসা গবেষণায় মন দিতে হবে।’

সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মো. বদরুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাচিপের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটুমিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সোসাইটি অব নিরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আবু নাসির রিজভী।