ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারীমুক্তি আন্দোলন এবং শ্রেণি সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনার

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৫ Time View

নারীর মর্যাদা ও সম অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করা, শোষণ-লাঞ্ছনা-নিপীড়ন-নির্যাতন রুখে দাঁড়ানো এবং সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের লড়াই শক্তিশালী করার আহ্বান নিয়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ১১৪ তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে গত ৮ মার্চ ২০২৪। তার ধারাবাহিকতায় আজ ৯ মার্চ ২০২৪ বিকাল ৩.৩০ টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি সেন্টারের নিচ তলায় নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘নারীমুক্তি আন্দোলন ও শ্রেণী সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ এর সহ সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, জার্মানির এমএলপিডি এর চেয়ারউইম্যান কমরেড গাবি ফেচনার, অল ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ উইমেন্স এসোসিয়েশন জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য কমরেড মধুরিমা বকশি, অল নেপাল উইম্যান্স এসোসিয়েশন (রেভ্যুলিউশনারি) এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড প্রতিমা শ্রেষ্ঠা, সোসালিস্ট উইমেন্স ইউনিয়ন, শ্রীলঙ্কা এর সদস্য কমরেড বি আর কল্পনা মধুভাষিণী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনীষা চক্রবর্ত্তী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট দিলরূবা নূরী।

সভাপতির বক্তব্যে শম্পা বসু বলেন, ‘দেশে দেশে নারীরা লড়াই করছে সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার ও সমমর্যাদার জন্য। সেই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানার জন্য, সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য এবং আমাদের দেশে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নারীমুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য এই সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে কিন্তু স্বীকৃতি এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তাদের সাথে চরম বৈষম্য করা হয়। বাংলাদেশে নারীরা পুরুষের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ অধিকার ভোগ করতে পারে। নারীদের সাথে নিপীড়ন হয় অর্থনৈতিক অভাব এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কারণে। রাষ্ট্র এই দুইটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এটা করবে না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যবস্থা বদলানোর লড়াই। সাম্যবাদী সমাজ গৃহ শ্রমের সামাজিকীকরণ করার মাধ্যমে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নারীর সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করে। নারী মুক্তির লড়াইকে তাই ব্যবস্থা বদলানোর লড়াইয়ে রূপান্তর করতে হবে।’

কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পুঁজিবাদী সমাজে নারী পুরুষের অধীন। এই অধীনতা জৈবিক কারণে নয়, এই অধীনতা সম্পর্কের ধরণের কারণে। এখানে পুরুষ অধীন করে রাখতে চায় আর নারীরা সমর্পণ করতে চায়। কিন্তু সমাজে নারীর ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অধিকার নিয়ে কোন আলোচনা করা হয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই শৃঙ্খল ভাঙার দায়িত্ব পালন করতে হবে মহিলা ফোরামকে। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কারণে নারী পুরুষ সকলেই মজুরি দাসত্বের মধ্যে আছে। প্রতিনিয়ত এই শোষণে জর্জরিত হয়ে আমাদের জীবন তিল তিল করে নিংশেষ হয়ে যাচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়ে আছে নারীদের অধস্তন করে রাখার মানসিকতা। নারী নির্যাতন দেখা যায় কিন্তু শোষণ দেখা যায় না! নারীর শ্রম শোষণের চিত্র সামনে তুলে ধরে আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে নারীমুক্তি আন্দোলন গতি পাবে না। আর যে সমাজ নারীকে এমন জীবনে ফেলে দেয় সেই সমাজ ভাঙ্গার আন্দোলনে না যুক্ত হলে নারীর অবস্থান পাল্টানো যাবে না।’

কমরেড গাবি ফেচনার বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ছাড়া নারী মুক্তি সম্ভব নয়। সা¤্রাজ্যবাদ জীবনকে ধ্বংস করছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করছে, বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় ও বিশ^ ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাচ্ছে। নারী দিবসের লড়াই হল বুর্জোয়া শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিন। নারী অধিকার মানে পুরুষের বিরুদ্ধে লড়াই নয়। সমাজতন্ত্র বুর্জোয়া পরিবার ব্যবস্থার ধারণা বদলে দেবে। আর এই লড়াই শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বেই করতে হবে।’

কমরেড মধুরিমা বকশি বলেন, ‘ শ্রেণি বিভক্ত সমাজে শ্রেণি নিপীড়ন এবং নারী নিপীড়ন একই সাথে চলে। সমাজের ভিত্তিতে নারী বৈষম্যের উপাদান থাকলে তার উপরিকাঠামো হিসেবে রাজনীতি, সংস্কৃতিতে বৈষম্য থাকবেই। তাই নারীর অবস্থার পরিবর্তন সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তির সাথে সম্পর্কিত। তাই লড়াইও একসাথেই করতে হবে। পুঁজিবাদ নারীমুক্তির কথা বলে শ্রম শোষণের জন্য, তাই তারা শ্রেণি সংগ্রামের কথা ভুলিয়ে দিতে চায়।’

কমরেড প্রতিমা শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘নেপালের জনযুদ্ধে নারীদের খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। এর আগেও নেপালের সকল আন্দোলনে নারীরা ভূমিকা পালন করেছে। তাদের নতুন সংবিধান এ নারীদের সম অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দলে ৩৩ শতাংশ নারী না থাকলে রাজনৈতিক রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যায় না। এতকিছুর পরও এখনও পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লঢ়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ নারী মুক্তি ও শোষণ মুক্তি অবিচ্ছিন্ন লড়াই।’

কমরেড বি আর কল্পনা মধুভাষিণী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় একদিকে মজুরি বৈষম্য অন্যদিকে ধর্মীয় কুসংস্কার এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। পুঁজিবাদ নারীকে আপাত অর্থে মুক্ত করেছে তার সস্তা শ্রম ব্যবহার করার জন্য। প্রকৃত মুক্তি এখানে সম্ভব নয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারীমুক্তি আন্দোলন এবং শ্রেণি সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনার

Update Time : ১১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

নারীর মর্যাদা ও সম অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করা, শোষণ-লাঞ্ছনা-নিপীড়ন-নির্যাতন রুখে দাঁড়ানো এবং সাম্রাজ্যবাদ-পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের লড়াই শক্তিশালী করার আহ্বান নিয়ে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ১১৪ তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে গত ৮ মার্চ ২০২৪। তার ধারাবাহিকতায় আজ ৯ মার্চ ২০২৪ বিকাল ৩.৩০ টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি সেন্টারের নিচ তলায় নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘নারীমুক্তি আন্দোলন ও শ্রেণী সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ এর সহ সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, জার্মানির এমএলপিডি এর চেয়ারউইম্যান কমরেড গাবি ফেচনার, অল ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ উইমেন্স এসোসিয়েশন জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য কমরেড মধুরিমা বকশি, অল নেপাল উইম্যান্স এসোসিয়েশন (রেভ্যুলিউশনারি) এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড প্রতিমা শ্রেষ্ঠা, সোসালিস্ট উইমেন্স ইউনিয়ন, শ্রীলঙ্কা এর সদস্য কমরেড বি আর কল্পনা মধুভাষিণী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনীষা চক্রবর্ত্তী। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট দিলরূবা নূরী।

সভাপতির বক্তব্যে শম্পা বসু বলেন, ‘দেশে দেশে নারীরা লড়াই করছে সকল ক্ষেত্রে সমঅধিকার ও সমমর্যাদার জন্য। সেই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা ও সংগ্রাম সম্পর্কে জানার জন্য, সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য এবং আমাদের দেশে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নারীমুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য এই সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে কিন্তু স্বীকৃতি এবং মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তাদের সাথে চরম বৈষম্য করা হয়। বাংলাদেশে নারীরা পুরুষের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ অধিকার ভোগ করতে পারে। নারীদের সাথে নিপীড়ন হয় অর্থনৈতিক অভাব এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কারণে। রাষ্ট্র এই দুইটি সমস্যার সমাধান করতে পারে। কিন্তু পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এটা করবে না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যবস্থা বদলানোর লড়াই। সাম্যবাদী সমাজ গৃহ শ্রমের সামাজিকীকরণ করার মাধ্যমে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নারীর সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করে। নারী মুক্তির লড়াইকে তাই ব্যবস্থা বদলানোর লড়াইয়ে রূপান্তর করতে হবে।’

কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘পুঁজিবাদী সমাজে নারী পুরুষের অধীন। এই অধীনতা জৈবিক কারণে নয়, এই অধীনতা সম্পর্কের ধরণের কারণে। এখানে পুরুষ অধীন করে রাখতে চায় আর নারীরা সমর্পণ করতে চায়। কিন্তু সমাজে নারীর ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অধিকার নিয়ে কোন আলোচনা করা হয় না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই শৃঙ্খল ভাঙার দায়িত্ব পালন করতে হবে মহিলা ফোরামকে। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার কারণে নারী পুরুষ সকলেই মজুরি দাসত্বের মধ্যে আছে। প্রতিনিয়ত এই শোষণে জর্জরিত হয়ে আমাদের জীবন তিল তিল করে নিংশেষ হয়ে যাচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়ে আছে নারীদের অধস্তন করে রাখার মানসিকতা। নারী নির্যাতন দেখা যায় কিন্তু শোষণ দেখা যায় না! নারীর শ্রম শোষণের চিত্র সামনে তুলে ধরে আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে নারীমুক্তি আন্দোলন গতি পাবে না। আর যে সমাজ নারীকে এমন জীবনে ফেলে দেয় সেই সমাজ ভাঙ্গার আন্দোলনে না যুক্ত হলে নারীর অবস্থান পাল্টানো যাবে না।’

কমরেড গাবি ফেচনার বলেন, ‘সমাজতন্ত্র ছাড়া নারী মুক্তি সম্ভব নয়। সা¤্রাজ্যবাদ জীবনকে ধ্বংস করছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করছে, বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় ও বিশ^ ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটাচ্ছে। নারী দিবসের লড়াই হল বুর্জোয়া শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিন। নারী অধিকার মানে পুরুষের বিরুদ্ধে লড়াই নয়। সমাজতন্ত্র বুর্জোয়া পরিবার ব্যবস্থার ধারণা বদলে দেবে। আর এই লড়াই শ্রমিক শ্রেণীর নেতৃত্বেই করতে হবে।’

কমরেড মধুরিমা বকশি বলেন, ‘ শ্রেণি বিভক্ত সমাজে শ্রেণি নিপীড়ন এবং নারী নিপীড়ন একই সাথে চলে। সমাজের ভিত্তিতে নারী বৈষম্যের উপাদান থাকলে তার উপরিকাঠামো হিসেবে রাজনীতি, সংস্কৃতিতে বৈষম্য থাকবেই। তাই নারীর অবস্থার পরিবর্তন সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তির সাথে সম্পর্কিত। তাই লড়াইও একসাথেই করতে হবে। পুঁজিবাদ নারীমুক্তির কথা বলে শ্রম শোষণের জন্য, তাই তারা শ্রেণি সংগ্রামের কথা ভুলিয়ে দিতে চায়।’

কমরেড প্রতিমা শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘নেপালের জনযুদ্ধে নারীদের খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। এর আগেও নেপালের সকল আন্দোলনে নারীরা ভূমিকা পালন করেছে। তাদের নতুন সংবিধান এ নারীদের সম অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। দলে ৩৩ শতাংশ নারী না থাকলে রাজনৈতিক রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যায় না। এতকিছুর পরও এখনও পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে লঢ়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ নারী মুক্তি ও শোষণ মুক্তি অবিচ্ছিন্ন লড়াই।’

কমরেড বি আর কল্পনা মধুভাষিণী বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় একদিকে মজুরি বৈষম্য অন্যদিকে ধর্মীয় কুসংস্কার এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। পুঁজিবাদ নারীকে আপাত অর্থে মুক্ত করেছে তার সস্তা শ্রম ব্যবহার করার জন্য। প্রকৃত মুক্তি এখানে সম্ভব নয়।’