ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবি, নিখোঁজ ৩৫

আরিফুল হক নভেল
  • Update Time : ১২:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৩৬ Time View

ঢাকার সদরঘাটের লালকুঠিঘাট এলাকা বরাবর বুড়িগঙ্গার মাঝনদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস ডুবে গেছে।

এদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকীরা নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছেন সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রীরা। আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ও সিদ্দিকবাজার থেকে এক ইউনিট ডুবুরিসহ নৌ-পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রী আবুল হোসেন জানান, ওয়াটার বাসটি শামপুর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়।

ওয়াটার বাসটি মাঝনদীতে গেলে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম সেতুর দিক থেকে আসা এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ওটারবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।

ওয়াটার বাসের ওপরে থাকা যাত্রীরা কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠে আবার আশপাশের নৌকার মাঝিরা অনেককে তীরে উঠতে সাহায্য করে। ওয়াটার বাসের নিচে যাত্রীরা এবং যারা সাঁতার না জানে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

ওয়াটার বাসটির যাত্রী আলী হোসেন বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার জন্য লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে উঠি। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে ওয়াটার বাসের ছাদে বসেছিলাম। আমার জানা মতে, ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। বাল্কহেডের ধাক্কায় আমিসহ কয়েকজন সাঁতরাতে থাকি।আশপাশের নৌকার মাঝিরা এসে উদ্ধার করেন। নিচের যাত্রীদের বেশির ভাগই ডুবে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সদরের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। নিখোঁজদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন জীবিত, দুজন অচেতন ও একজন মৃত। সবাইকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের ভাষ্য মতে ৩০ থেকে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাত ৯টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবি, নিখোঁজ ৩৫

Update Time : ১২:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

ঢাকার সদরঘাটের লালকুঠিঘাট এলাকা বরাবর বুড়িগঙ্গার মাঝনদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস ডুবে গেছে।

এদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকীরা নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছেন সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রীরা। আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ও সিদ্দিকবাজার থেকে এক ইউনিট ডুবুরিসহ নৌ-পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাঁতরে তীরে উঠা যাত্রী আবুল হোসেন জানান, ওয়াটার বাসটি শামপুর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়।

ওয়াটার বাসটি মাঝনদীতে গেলে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম সেতুর দিক থেকে আসা এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ওটারবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।

ওয়াটার বাসের ওপরে থাকা যাত্রীরা কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠে আবার আশপাশের নৌকার মাঝিরা অনেককে তীরে উঠতে সাহায্য করে। ওয়াটার বাসের নিচে যাত্রীরা এবং যারা সাঁতার না জানে তারা পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

ওয়াটার বাসটির যাত্রী আলী হোসেন বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার জন্য লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে উঠি। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে ওয়াটার বাসের ছাদে বসেছিলাম। আমার জানা মতে, ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। বাল্কহেডের ধাক্কায় আমিসহ কয়েকজন সাঁতরাতে থাকি।আশপাশের নৌকার মাঝিরা এসে উদ্ধার করেন। নিচের যাত্রীদের বেশির ভাগই ডুবে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সদরের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। নিখোঁজদের মধ্যে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন জীবিত, দুজন অচেতন ও একজন মৃত। সবাইকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের ভাষ্য মতে ৩০ থেকে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। রাত ৯টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বাল্কহেডটি আটক করা হয়েছে।’