ঢাকা ০৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

বিদেশিরা দেশে অশান্তি চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৩:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬১ Time View

বিদেশিরা দেশে অশান্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা বুঝতে হবে, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। অশান্তি হলে, দেশ যদি উইক (দুর্বল) হয়, তাদের অনেক সুবিধা হয়। এ কারণে ওরা উইক করতে চায়। ওদের এই ভেলকিতে আপনারা অবগাহন করবেন না, ভেলকিতে বুঝে শুনে অবস্থান নেবেন।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা এ সংলাপের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন দেশের লোক করবে, দেশের সরকার দেশের লোক করবে। আমরা আওয়ামী লীগ আমরা আপনাদের, জনগণের ওপর বিশ্বাস করি।

জনগণণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। আর অন্য কে, বিদেশি কি বলল, না বলল, তার গুরুত্ব সামান্য। সেটার জন্য সরকার আছে, সরকার এটা দেখভাল করবে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপড়তার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে শুধু বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ এ বছর আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। ওইগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নাই। আপনারা যদি একটু সজাগ হন। এর একটি অর্থ হচ্ছে যে, আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত হয়েছে, সবার আকর্ষণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে যদি আমরা শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে যদি আমরা জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে উনার ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী যে উন্নয়ন হয়েছে, তার গতিধারা বজায় থাকবে।’

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটি হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর। এবং সেখানে আমার বিশ্বাস বাঙালি জাতি অত্যন্ত পরিপক্ক, তারা যখন ভোট দেয়, তখন আসল জায়গায় ভোট দেয়। তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সহজভাবে যাতে চালাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে দুনিয়ার প্রায় ৬০ দেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্বাচন হওয়ার আগে আরও ২২ দেশে নির্বাচন হবে। আমার কাছে নাম আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আর আমি যে শখানেক দেশের নির্বাচনের কথা বললাম, তাদের নিয়ে কোনো আলাপ নেই। এর একটি অর্থ হচ্ছে আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রতি সবার আকর্ষণ বেড়েছে।’

এ সময় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ছোট্ট একটি দেশ, সেখানে ৬৫ বছর ধরে তারা স্থিতিশীল। আগে বাবা, এখন ছেলে দেশটি শাসন করছেন। একটা ব্যারেন ল্যান্ড (অনুর্বর ভূমি) ছিল। এমন ব্যারেন ল্যান্ড যে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দিতে হয়েছে। দরিদ্র জায়গা। কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে তারা এখন এশিয়ার নাম্বার ওয়ান।

মন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি-শৃঙ্খলা নেই, সেখানে ভরাডুবি হয়েছে। ইরাক একসময় মধ্যপ্রাচ্যের অগ্রসর দেশ ছিল। সিরিয়া অনেক ভালো ছিল। আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত দেশ ছিল লিবিয়া। তাদের কোনো দেনা ছিল না। সুখে-শান্তিতে ছিল। কিন্তু তারা এখন মারামারি-কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত।

তিনি বলেন, আমরা মারামারি না, শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আর তা বজায় রাখতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের একটি বড় পরীক্ষা হবে। আমরা যদি শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনা সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে ট্র্যাক রেকর্ড অনুসারে তার উন্নয়নের গতিধারা চালু থাকবে। অন্যথায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তখন বাংলাদেশ সন্ত্রাসী দেশ, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ছিল অসভ্য দেশ, যেখানে নারী-পুরুষ ও সংখ্যালঘু কারো জীবনের নিশ্চয়তা ছিল না। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই না।

মোমেন বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবন সহজভাবে কীভাবে চালাতে হয় সে বিষয়। কারণ বর্তমানে পৃথিবীতে এক অনিশ্চয়তা চলছে। প্রায়ই বলে থাকি, যেসব দেশে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আছে, শান্তি আছে- সেসব দেশে অঙ্কের হিসাবে দেখলে তাদের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসে তারাই দেশের কথা চিন্তা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশকে দরিদ্র থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। আগামী রূপকল্প ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতিও ওপর গবেষণাধর্মী একটি নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। নোটে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। ওই বিশ্লেষণে প্রায় প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নের ধারা তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ।

Please Share This Post in Your Social Media

বিদেশিরা দেশে অশান্তি চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ০৩:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

বিদেশিরা দেশে অশান্তি চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা বুঝতে হবে, বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা এখানে অশান্তি চায়। অশান্তি হলে, দেশ যদি উইক (দুর্বল) হয়, তাদের অনেক সুবিধা হয়। এ কারণে ওরা উইক করতে চায়। ওদের এই ভেলকিতে আপনারা অবগাহন করবেন না, ভেলকিতে বুঝে শুনে অবস্থান নেবেন।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট নামের একটি সংস্থা এ সংলাপের আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন দেশের লোক করবে, দেশের সরকার দেশের লোক করবে। আমরা আওয়ামী লীগ আমরা আপনাদের, জনগণের ওপর বিশ্বাস করি।

জনগণণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। আর অন্য কে, বিদেশি কি বলল, না বলল, তার গুরুত্ব সামান্য। সেটার জন্য সরকার আছে, সরকার এটা দেখভাল করবে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপড়তার বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ও জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে শুধু বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ এ বছর আরও ২২টি দেশে নির্বাচন হবে। ওইগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নাই। আপনারা যদি একটু সজাগ হন। এর একটি অর্থ হচ্ছে যে, আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত হয়েছে, সবার আকর্ষণ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে যদি আমরা শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে যদি আমরা জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে উনার ট্র্যাক রেকর্ড অনুযায়ী যে উন্নয়ন হয়েছে, তার গতিধারা বজায় থাকবে।’

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটি হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর। এবং সেখানে আমার বিশ্বাস বাঙালি জাতি অত্যন্ত পরিপক্ক, তারা যখন ভোট দেয়, তখন আসল জায়গায় ভোট দেয়। তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সহজভাবে যাতে চালাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে দুনিয়ার প্রায় ৬০ দেশে নির্বাচন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আমাদের নির্বাচন হওয়ার আগে আরও ২২ দেশে নির্বাচন হবে। আমার কাছে নাম আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আর আমি যে শখানেক দেশের নির্বাচনের কথা বললাম, তাদের নিয়ে কোনো আলাপ নেই। এর একটি অর্থ হচ্ছে আমাদের অবস্থান অনেক উন্নত হচ্ছে। আমাদের দেশের প্রতি সবার আকর্ষণ বেড়েছে।’

এ সময় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ছোট্ট একটি দেশ, সেখানে ৬৫ বছর ধরে তারা স্থিতিশীল। আগে বাবা, এখন ছেলে দেশটি শাসন করছেন। একটা ব্যারেন ল্যান্ড (অনুর্বর ভূমি) ছিল। এমন ব্যারেন ল্যান্ড যে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দিতে হয়েছে। দরিদ্র জায়গা। কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে তারা এখন এশিয়ার নাম্বার ওয়ান।

মন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি-শৃঙ্খলা নেই, সেখানে ভরাডুবি হয়েছে। ইরাক একসময় মধ্যপ্রাচ্যের অগ্রসর দেশ ছিল। সিরিয়া অনেক ভালো ছিল। আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে উন্নত দেশ ছিল লিবিয়া। তাদের কোনো দেনা ছিল না। সুখে-শান্তিতে ছিল। কিন্তু তারা এখন মারামারি-কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত।

তিনি বলেন, আমরা মারামারি না, শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আর তা বজায় রাখতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের একটি বড় পরীক্ষা হবে। আমরা যদি শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনা সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে ট্র্যাক রেকর্ড অনুসারে তার উন্নয়নের গতিধারা চালু থাকবে। অন্যথায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তখন বাংলাদেশ সন্ত্রাসী দেশ, পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ছিল অসভ্য দেশ, যেখানে নারী-পুরুষ ও সংখ্যালঘু কারো জীবনের নিশ্চয়তা ছিল না। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই না।

মোমেন বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জীবন সহজভাবে কীভাবে চালাতে হয় সে বিষয়। কারণ বর্তমানে পৃথিবীতে এক অনিশ্চয়তা চলছে। প্রায়ই বলে থাকি, যেসব দেশে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আছে, শান্তি আছে- সেসব দেশে অঙ্কের হিসাবে দেখলে তাদের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসে তারাই দেশের কথা চিন্তা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশকে দরিদ্র থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। আগামী রূপকল্প ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতিও ওপর গবেষণাধর্মী একটি নোট উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী। নোটে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। ওই বিশ্লেষণে প্রায় প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নের ধারা তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ।