ঢাকা ০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা'-আদাত উল করীম
  • Update Time : ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২২২ Time View

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এই মৃত্যুদন্ড আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রেমান্দ ক্ষত্রিয় ওরফে শুভন নামে এক ব্যক্তি ইয়াসমিন আক্তার নামে এক নারীর সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। পরে শোভন ধর্মান্তরিত হয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনা ও শোভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকুরির সূত্রে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বসবাস করতেন।

সূত্রে আরও জানা যায় বিয়ের পর থেকে শোভন জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে গত ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে পাষণ্ড স্বামী শোভন তার স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডারের চুলার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আগুন লেগে ইয়াসমিনের সারা শরীর দগ্ধ হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৩ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসমিন মারা যান।

পরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইয়াসমিন আক্তারের বড় বোন হাজেরা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি প্রেমান্দ ক্ষত্রিয় ওরফে শোভনের মৃত্যু দন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.আকরাম হোসেন ও আসামি শোভনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.দিদারুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

জামালপুরে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৮:৩৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম এই মৃত্যুদন্ড আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রেমান্দ ক্ষত্রিয় ওরফে শুভন নামে এক ব্যক্তি ইয়াসমিন আক্তার নামে এক নারীর সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। পরে শোভন ধর্মান্তরিত হয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে বিয়ে করেন। ইয়াসমিন আক্তারের বাড়ি নেত্রকোনা ও শোভনের বাড়ি ময়মনসিংহে। চাকুরির সূত্রে তারা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বসবাস করতেন।

সূত্রে আরও জানা যায় বিয়ের পর থেকে শোভন জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে গত ২০২০ সালের ১ জুলাই রাতে পাষণ্ড স্বামী শোভন তার স্ত্রী ইয়াসমিনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডারের চুলার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আগুন লেগে ইয়াসমিনের সারা শরীর দগ্ধ হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৩ জুলাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসমিন মারা যান।

পরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইয়াসমিন আক্তারের বড় বোন হাজেরা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি প্রেমান্দ ক্ষত্রিয় ওরফে শোভনের মৃত্যু দন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.আকরাম হোসেন ও আসামি শোভনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো.দিদারুল ইসলাম।