ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন সৌদিতে প্রথমবারের মতো সুইমস্যুট পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা ‘আয়রনম্যান’ চরিত্রে ফিরতে ‘আপত্তি নেই’ রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ভারত সরকার দায়ী : কর্নেল অলি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা কাঠালিয়ায় ডাকাতের গুলিতে আহত ২ বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়র তাপস মনগড়া ও অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন : সাঈদ খোকন

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৭১ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতিসংঘকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলেন ঢাবি উপাচার্য

Update Time : ১০:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

জাতিসংঘ কে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। শুধু তাই নয় জাতিসংঘকে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত ও পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় এ জনপদের মানুষের নেতৃত্ব দেয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমিও আপনাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলবো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক এবং যে ভূখণ্ডটি সেখানে ছিল সেটি সেখানের জনগণের কাছে পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমি এখানে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘকে ধিক্কার জানাই। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল- এ দুটি রাষ্ট্র আবির্ভূত হওয়ার পরপরই আমরা দেখলাম জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃত দেয়নি। ইসরায়েলকে মেম্বার স্টেইট অব ইউনাইটেড ন্যাশসনস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৪ সালে এসে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব জনমতের চাপে নন-মেম্বার অবজারভার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত দেয়।জাতিসংঘ নির্যাতিত মানুষের প্রতি অনেক বড় অন্যায় করেছে। এর মধ্যদিয়ে জাতিসংঘ যে একটি পর্যুদস্ত পরাজিত সংগঠন, এটি যে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে পারে না, সেটি জাতিসংঘ প্রমাণ করেছে। জাতিসংঘ যে যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহী, জাতিসংঘ সেটি প্রমাণ করেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দেশে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন, সেখানে চার হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তারা জানে না যুদ্ধ কী? চার হাজার শিশুকে হত্যা করার পরও এখনো সেখানে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যুদ্ধকে আরও শাণিত করতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র যেন পুরোপুরি ইসরায়েলের দখলে চলে যায় সেজন্য সেখানে রণতরী পাঠিয়েছে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করেছে তারা মানবতার পক্ষে নয়, সভ্যতার পক্ষে নয়, তারা দখলদার যারা তাদের পক্ষে।এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর এই একপেশে ও দখলদারিত্ব নীতির প্রতিও ধিক্কার জানান তিনি।