ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের সাজা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাশ উদ্ধার হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উপর গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রপতির সাথে আইআইইউসি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুরে জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার দৌলতপুরে আটকের পর মাদক বহনকারীকে ছেড়ে দেওযার অভিযোগ! টঙ্গীতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত সন্তানদের নতুন জামা পরিয়ে রাতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরলেন না বাবা প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির ফলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুল হয়েছেঃ সিলেটে আইজিপি বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

গাজীপুরে ভাই এর হাতে বোন খুন; ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন

গাজীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬ Time View

Screenshot

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সিংহশ্রী ইউনিয়নের ‍পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম ওরফে শিমু (৩৫) কে নিজ বসতঘরে খুনের ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার কুলগংগা গ্রামের সিরাজউদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার মান্দারবাড়ি গ্রামের আসকর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)।

গত বৃহষ্পতিবার গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এবং ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার রাজউক কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিপিএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. সিরাজ উদ্দিন বেপারী কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে দেখতে পায়। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশের খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়।

অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শ্বাস রোধ করে হত্যা করে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করে ।

প্রেস ব্রীফিং থেকে জানা যায়, আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে  আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দ্ইু দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে  পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমু আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার চাকু দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে বলে, আমরা তোর কোন ক্ষতি করবনা, আমরা যা নেওয়ার নিয়ে চলে যাবো, চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমু চিৎকার বন্ধ না করলে আসামী মিস্টার গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। চিৎকার করার সময় আসামী দ্বয় ভিকটিমের মুখ চেপে ধরলে ভিকটিমের দাতের কামড়ে আসামীদের হাতের আঙ্গুলে জখম প্রাপ্ত হয়।

ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে মিষ্টার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। রুবেল ও মিষ্টার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।

পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকায় বিক্রি করে।

পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজীপুরে ভাই এর হাতে বোন খুন; ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন

Update Time : ০৫:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সিংহশ্রী ইউনিয়নের ‍পূর্ব ভিটিপাড়া গ্রামের দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী মোশারফ হোসেনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম ওরফে শিমু (৩৫) কে নিজ বসতঘরে খুনের ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার কুলগংগা গ্রামের সিরাজউদ্দিনের ছেলে কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার মান্দারবাড়ি গ্রামের আসকর আলীর ছেলে মিনাল ওরফে মিষ্টার (২১)।

গত বৃহষ্পতিবার গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এবং ডিএমপি ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার রাজউক কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিপিএম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. সিরাজ উদ্দিন বেপারী কাপাসিয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, ইং ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় প্রতিবেশী তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের গেইটের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ীর উত্তর পাশের জানালা দিয়ে বাদীর মেয়ের হাত,পা বাধাঁ অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে দেখতে পায়। তখন তাইজ উদ্দিন বাদীর মেয়ের জ্যাঁ শাহনাজ পারভীনকে ডাক দিলে তারা দুইজনে বাড়ীর দক্ষিণ পাশের খোলা দরজা দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত, পা, রশি ও ওড়না এবং গামছা দিয়ে বাধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বাদী ও তার স্ত্রীকে জানায়।

অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারী বা দুস্কৃতিকারীরা গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকা হতে ০২/০৪/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় বাদীর মেয়ের বসত ঘরের রান্না ঘরের চালের টিন খুলে ভিতরে প্রবেশ করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে হাত,পা, মুখ রশি ও গামছা দিয়ে বেধেঁ শ্বাস রোধ করে হত্যা করে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করে ।

প্রেস ব্রীফিং থেকে জানা যায়, আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল (৩৬) একটি আবাসিক হোটেলে চাকুরী করত। ঘটনার পাঁচ মাস পূর্বে  আসামী রুবেল হোটেলের চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার কারনে সে অর্থনৈতিক সংকটে পরে। আসামী মোঃ কামরুজ্জামান রুবেল বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋন করে। আসামী রুবেল ঋনের টাকা কোন ভাবেই পরিশোধ করতে না পারায় তার বোন শাহনাজ আক্তার সিমুর বাসা হতে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা চুরি করার চিন্তা করে। ঘটনার দ্ইু দিন আগে আসামী রুবেল তার পূর্বে আসামী মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টারের সাথে যোগাযোগ করে তার বোনের বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন বিকাল বেলা মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসলে আসামী রুবেল ও মোঃ মিনাল ওরফে মিষ্টার একটি ব্যাগের মধ্যে একটি সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, গামছা, কেচি নিয়ে ট্রেনে করে শ্রীপুর যায়। তারা শ্রীপুর বাস ষ্ট্যান্ড হতে অটোরিক্সা ভাড়া করে বরমী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে চা সিগারেট খায়। কিছুক্ষণ পরে তারা সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় সিংহশ্রী ব্রীজে  পৌঁছায়। সিংহশ্রী ব্রীজ হতে তারা পায়ে হেটে আসামী রুবেল এর বোন ভিকটিম শাহনাজ আক্তার সিমুর বাড়ীর সামনে গেন্ডারী ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে। রাত অনুমান ১২.০০ ঘটিকার পর আসামীরা ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর পাশের বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের উপর দিয়ে বাসার ছাদে উঠে পিছনের রান্না ঘরের সিমেন্টের টিন খুলে রান্না ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং রান্না ঘর হতে দরজা খুলে বাহিরে এসে বাড়ীর পেছনের খোলা জানালায় বাঁশের লাঠি দিয়ে ভিতরের সিটকারী খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। শিমু আসামীদের সারা শব্দ পেয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রথমে আসামী মিষ্টার সুইচ গিয়ার চাকু দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে বলে, আমরা তোর কোন ক্ষতি করবনা, আমরা যা নেওয়ার নিয়ে চলে যাবো, চিৎকার বন্ধ কর। এর পরও শিমু চিৎকার বন্ধ না করলে আসামী মিস্টার গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। চিৎকার করার সময় আসামী দ্বয় ভিকটিমের মুখ চেপে ধরলে ভিকটিমের দাতের কামড়ে আসামীদের হাতের আঙ্গুলে জখম প্রাপ্ত হয়।

ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমু যাতে আসামী রুবেলকে চিনতে না পারে সেজন্য ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। আসামী রুবেল ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর আলমারি খোলার জন্য চাবি খুঁজতে থাকে। আসামী মিষ্টারের সাথে ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ধস্তাধস্তি শুরু করলে মিষ্টার সিমুর মুখে আঘাত করে এবং সিমুর বুকের উপর বসে গলায় চেপে ধরে। রুবেল টেবিলের ড্রয়ার থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, কানের ফুল ও নগদ ৩,০০০/-টাকা এবং ভিকটিম শাহানাজ আক্তার সিমুর ব্যবহৃত মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। রুবেল ও মিষ্টার সিমুর হাত ও পা পেছন দিয়ে বেধে বাড়ীর পকেট গেইট দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।

পরের দিন সকালে আসামী রুবেল সুইজ গিয়ার চাকু, প্লাস, মোবাইল সেট ভেঙ্গে জাজর ব্রীজের নীচে খালের পানিতে ফেলে দেয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ন ১,৫০,০০০/-টাকায় বিক্রি করে।

পিবিআই গাজীপুর জেলা পুলিশ আসামী রুবেলকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত হতে লুণ্ঠিত স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৫৭,০০০/-টাকা উদ্ধার করে এবং তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি প্লাস, সুইজ গিয়ার চাকু ও চোরাইকৃত মোবাইল সেটের খন্ডিত অংশ জাজর কবরস্থান ব্রীজের নীচে খাল হতে উদ্ধারসহ তার সহযোগী আসামী মিষ্টারকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে।

স্বর্ন বিক্রির অবশিষ্ট টাকা ও স্বর্ন উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।