কিশোরগঞ্জে ইজিপিপি প্রকল্পের শ্রমিকদেরকে ভয় দেখিয়ে ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ
- Update Time : ০২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
- / ৭২ Time View
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) শ্রমিকদের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে ইউপি সদস্য।
রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ সিঙ্গেরগাড়ী মাঝাপাড়া এলাকায় জানা যায়,গত ঈদুল আযহার পূর্বে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের (ইজিপিপি) ৩৬ কর্মদিবসের ১২ হাজার টাকা করে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা হয়।
সুবিধাভোগীরা তাদের টাকা উত্তোলন করার সাথে সাথে মাগুড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম প্রত্যেক সুবিধাভোগীর বাড়িতে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মামলার খরচ (খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে) বাবদ ৫ হাজার করে টাকা উত্তোলনের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সুবিধাভোগীরা টাকা না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর কাছে গেলে তিনিও টাকা দেয়ার কথা বলেন। টাকা না দিলে পুরাতন সদস্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে সুবিধাভোগীদেরকে হুমকি দেন।
সুবিধাভোগীরা ওই সুবিধা থেকে যেন বাদ না পড়ে সেজন্য ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামের কাছে ৫ হাজার করে টাকা দেন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হলে এবং কোন অফিসারদেরকে জানানো হলেও তাদের তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে বলেও ভয় ভীতি দেখান ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম।
ওই এলাকার সুবিধাভোগী কেচুয়ানী,সুন্দরী বেগম,শিল্পী রানী,লাকী বেগম, জোবেয়া বেগম ও এসকেনা বেগম বলেন,আমরা গরীব মানুষ বছরে ৬ মাসে এই মাটি কাটার টাকা দিয়ে হামার কোনমতে জীবন চলে।
তার থেকে চেয়ারম্যান মেম্বাররা হামার কাছ থাকি জোর জবরদস্তি করে টাকা নিয়ে নেয়। টাকা দিবার না পাইলে হামার নাম বাদ দিবে বলে জানায়। হামরা মাটি কাটার কাম না পাইলে হামার কি হইবে। সেই ভয়ে হামরা টাকা দিছি বাহে সাংবাদিকের ব্যাটা।
এ ব্যাপারে রবিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি কোন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে টাকা নেইনি।
মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন,আমি কোন ব্যক্তিকে টাকা দিতে বলিনি। যদি কেউ মেম্বারকে টাকা দিয়ে থাকে সেটা তারা অভিযোগ দিলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অভিযোগ দেয়নি। সুবিধাভোগীদের শ্রমের টাকা কেউ আত্মসাৎ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।