হামাস-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি নিয়ে যা বললেন বিশ্ব নেতারা
- Update Time : ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ৬৭২ Time View
ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় হামাসের প্রতিক্রিয়াকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বাগত জানালেও ইসরায়েলিরা এখনও বিভক্ত
গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। এই শান্তি চুক্তির জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তেনিও গুতেরেস সব পক্ষকে এই চুক্তির সব শর্ত মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া উচিত।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার এই শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে দুই পক্ষের একমত হওয়ার খবরে এক বিবৃতিতে, এটি একটি গভীর স্বস্তিকর মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সংবাদকে আমি স্বাগত জানাই।
কিয়ের স্টারমার বলেন, সারা বিশ্বের জন্য এটি গভীর স্বস্তির মুহূর্ত। বিশেষ করে জিম্মি, তাদের পরিবার এবং গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য। যারা গত দুই বছর ধরে অকল্পনীয় দুর্ভোগ সহ্য করছেন।’
সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের চুক্তিকে বৃহস্পতিবার স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই অগ্রগতিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জিম্মিদের মুক্তি, গাজার জনগণের জন্য বর্ধিত মানবিক সহায়তা, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বস্তি প্রদান করবে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করবে।
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স জোর দিয়ে বলেছেন যে, হামাসকে অবশ্যই সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েলকে সম্মত লাইনে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। এটিকে স্থায়ী শান্তির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পর্যায়ের এই গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে সকল পক্ষকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাত, জিম্মি এবং বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির পর, চুক্তিটি শান্তির দিকে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা সকল পক্ষকে পরিকল্পনার শর্ত মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টা’ এবং সমঝোতা আলোচনায় মিশর, কাতার ও তুরস্কের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
শান্তি পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া আরও বলেছে, এটি ‘গাজায় পুনরুদ্ধার, দীর্ঘমেয়াদী শান্তি নিশ্চিত করা এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি খুব দীর্ঘ পথ হবে। ভবিষ্যতে গাজায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
এদিকেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, মিসরে সম্পন্ন হওয়া গাজার ‘জিম্মি মুক্তি বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি’ চুক্তির দিনটি ‘বিশ্বের জন্য এক মহান দিন’। রয়টার্সের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ বিষয়ে পুরো বিশ্ব এক হয়েছে। ইসরায়েলসহ সব দেশ একসঙ্গে এসেছে। আজকের দিনটি অসাধারণ।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটা বিশ্বের জন্য এক মহান দিন। এটা সবার জন্য এক দারুণ ও আনন্দের দিন।’

























































































































































































