ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

চবিতে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৫:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৮৯ Time View

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন দপ্তরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টর বরাবর তারা একটি স্মারকলিপি দেন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- শিক্ষার্থীদের নামে দেওয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে; শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্করণ করতে হবে; চবি মেডিকেলে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত মেডিসিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল হিমেল বলেন, শাটল ট্রেনে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। এরমধ্যে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে ভাঙচুর চালিয়েছে।

যারা ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা সাধারণ শিক্ষার্থী হতে পারে না৷। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল সময় নিয়ে তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে তারপর মামলা দেওয়া।

কিন্তু তা না করে প্রশাসন ঢালাওভাবে শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। আমরা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সামিহা ইসলাম বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল শাটলের সিট সমস্যা সংক্রান্ত।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটার সমাধান না করে ছাত্রছাত্রীদের নামে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামালা দিয়েছে। আমরাও চাই দোষীদের খুঁজে বের করা হোক।

এর আগে ৭ আগস্ট সহিংসতার ঘটনায় গত শনিবার রাতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

যেগুলোর বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক।

Please Share This Post in Your Social Media

চবিতে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৫:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও পরিবহন দপ্তরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টর বরাবর তারা একটি স্মারকলিপি দেন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- শিক্ষার্থীদের নামে দেওয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে; শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্করণ করতে হবে; চবি মেডিকেলে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং পর্যাপ্ত মেডিসিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল হিমেল বলেন, শাটল ট্রেনে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। এরমধ্যে কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে ভাঙচুর চালিয়েছে।

যারা ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা সাধারণ শিক্ষার্থী হতে পারে না৷। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল সময় নিয়ে তদন্ত করে জড়িতদের চিহ্নিত করে তারপর মামলা দেওয়া।

কিন্তু তা না করে প্রশাসন ঢালাওভাবে শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। আমরা দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সামিহা ইসলাম বলেন, আমাদের আন্দোলন ছিল শাটলের সিট সমস্যা সংক্রান্ত।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটার সমাধান না করে ছাত্রছাত্রীদের নামে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামালা দিয়েছে। আমরাও চাই দোষীদের খুঁজে বের করা হোক।

এর আগে ৭ আগস্ট সহিংসতার ঘটনায় গত শনিবার রাতে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৯০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

যেগুলোর বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক।