ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি বেগের বুলেট ট্রেন চালু ইন্দোনেশিয়ায়

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২১১ Time View

নিজেদের প্রথম হাইস্পিড রেলওয়ে চালু করলো ইন্দোনেশিয়া। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চীনের বেল অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

২০১৯ সালেই চালু হওয়ার কথা ছিল হাইস্পিড ট্রেনটি। কিন্তু ভূমি নিয়ে বিরোধ, করোনাভাইরাস মহামারি এবং প্রকল্পের ব্যয় ১২০ কোটি ডলার বেড়ে যাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় কাজ।

এরপর গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা ছিল ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর। কিন্তু তার সময়সূচি না মেলায় একদিন পিছিয়ে সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটির প্রথম হাইস্পিড রেল।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে দেশটির অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক শহর বান্দুং পর্যন্ত চলবে বুলেট ট্রেনটি। এই রুটের দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।

দ্রুতগতির এই রেলওয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য। দেশটির তীব্র যানজট কমাতে এ ধরনের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।

‘হুশ’ পরিচালনা করবে পিটি কেসিআইসি নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ও বেইজিংয়ের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগ এটি।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চগতির এই রেল দেশটির অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রেনটি বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করবে।

পরামর্শক সংস্থা গ্লোবাল কাউন্সেলের প্রধান ইন্দোনেশিয়া বিশ্লেষক দেদি দিনার্টোর মতে, ইন্দোনেশীয় বুলেট ট্রেন মূলত ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে চীন-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্প সরকারের জন্য লাভজনক হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বুলেট ট্রেনের টিকিটের দাম এখনো চূড়ান্ত করেনি ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরিচালনা সংস্থার অনুমান, এক পথের যাত্রায় এর টিকিটের দাম আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ রুপাইয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা প্রায়) হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি বেগের বুলেট ট্রেন চালু ইন্দোনেশিয়ায়

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৭:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

নিজেদের প্রথম হাইস্পিড রেলওয়ে চালু করলো ইন্দোনেশিয়া। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চীনের বেল অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

২০১৯ সালেই চালু হওয়ার কথা ছিল হাইস্পিড ট্রেনটি। কিন্তু ভূমি নিয়ে বিরোধ, করোনাভাইরাস মহামারি এবং প্রকল্পের ব্যয় ১২০ কোটি ডলার বেড়ে যাওয়ার কারণে পিছিয়ে যায় কাজ।

এরপর গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ট্রেনটি উদ্বোধন করার কথা ছিল ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর। কিন্তু তার সময়সূচি না মেলায় একদিন পিছিয়ে সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে দেশটির প্রথম হাইস্পিড রেল।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে দেশটির অন্যতম শীর্ষ বাণিজ্যিক শহর বান্দুং পর্যন্ত চলবে বুলেট ট্রেনটি। এই রুটের দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।

দ্রুতগতির এই রেলওয়ের নাম রাখা হয়েছে ‘হুশ’, ইন্দোনেশীয় ভাষায় যার অর্থ সময় সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য। দেশটির তীব্র যানজট কমাতে এ ধরনের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।

‘হুশ’ পরিচালনা করবে পিটি কেসিআইসি নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি ও বেইজিংয়ের চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগ এটি।

ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চগতির এই রেল দেশটির অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রেনটি বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করবে।

পরামর্শক সংস্থা গ্লোবাল কাউন্সেলের প্রধান ইন্দোনেশিয়া বিশ্লেষক দেদি দিনার্টোর মতে, ইন্দোনেশীয় বুলেট ট্রেন মূলত ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। তবে চীন-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই প্রকল্প সরকারের জন্য লাভজনক হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বুলেট ট্রেনের টিকিটের দাম এখনো চূড়ান্ত করেনি ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। তবে পরিচালনা সংস্থার অনুমান, এক পথের যাত্রায় এর টিকিটের দাম আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ রুপাইয়া (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা প্রায়) হতে পারে।