ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
  • Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩২৯ Time View

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।

Please Share This Post in Your Social Media

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।