ঢাকা ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ১১৮ বারের মতো পেছালো রাজপথ ছেড়ে না যাওয়ার নির্দেশ ইশরাকের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি ‘ইশরাককে আজকের মধ্যেই মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে’ তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল

শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
  • Update Time : ০১:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৪৮ Time View

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এর আগে হত্যাকান্ডের শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদি হয়ে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪ জনকে আসামীকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পরিদর্শক বাবুল আক্তার বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই।

গ্রেপ্তারকৃতেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীর সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামী। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার(১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার পর হত্যা স্বীকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি(০৫)। আহত অবস্থায় শিশু ছাওদা জেনিকে তার আপন চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মোঃ আব্দুল হোসেন খকিফার মেয়ে। ছাওদা জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
Update Time : ০১:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এর আগে হত্যাকান্ডের শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদি হয়ে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪ জনকে আসামীকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পরিদর্শক বাবুল আক্তার বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই।

গ্রেপ্তারকৃতেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীর সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামী। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার(১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার পর হত্যা স্বীকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি(০৫)। আহত অবস্থায় শিশু ছাওদা জেনিকে তার আপন চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মোঃ আব্দুল হোসেন খকিফার মেয়ে। ছাওদা জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে।