ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

লালমনিরহাটে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • Update Time : ০৪:৪১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩২৩ Time View

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় বর্তমান সময়ে গবাদি পশু পালনকারী কৃষকদের সংরক্ষিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালন করতে গেলে গো-খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু এবারে বন্যায় গো-খাদ্য (পোয়াল) পচে যাওয়ায় এ কৃত্রিম সংকট।

এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সামনে আগাম জাতের ধান কাটা হলে এ সংকট থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস লাগালেও ক্ষুদ্র খামারিরা শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। এ বছর বন্যা আর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি এস এম হাসান আলী জানান, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটা গরুর একদিনের খড় কিনতে ২০/৩০ টাকা লাগে।

খড় ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শুকনো খড় পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৩ টাকা ক্রয় করে ৪ থেকে ৫টাকা বিক্রয় করে থাকি।

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম বেড়েছে কয়েকগুন।

তাই এ সময় শুকনো খড়ই ক্ষুদ্র খামারিদের একমাত্র ভরসা। তবে, বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

লালমনিরহাটে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
Update Time : ০৪:৪১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় বর্তমান সময়ে গবাদি পশু পালনকারী কৃষকদের সংরক্ষিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালন করতে গেলে গো-খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু এবারে বন্যায় গো-খাদ্য (পোয়াল) পচে যাওয়ায় এ কৃত্রিম সংকট।

এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সামনে আগাম জাতের ধান কাটা হলে এ সংকট থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস লাগালেও ক্ষুদ্র খামারিরা শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। এ বছর বন্যা আর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি এস এম হাসান আলী জানান, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটা গরুর একদিনের খড় কিনতে ২০/৩০ টাকা লাগে।

খড় ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শুকনো খড় পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৩ টাকা ক্রয় করে ৪ থেকে ৫টাকা বিক্রয় করে থাকি।

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম বেড়েছে কয়েকগুন।

তাই এ সময় শুকনো খড়ই ক্ষুদ্র খামারিদের একমাত্র ভরসা। তবে, বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।