ঢাকা ০৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন গ্রেপ্তার বিএনপির ১১ টি সংগঠনের বাইরে কোন সংগঠন নেই বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বিএনপি মহাসচিবকেও তোয়াক্কা করে না জাতীয় প্রেসক্লাব কমিটি

নওরোজ রিপোর্ট
  • Update Time : ১০:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৬৬ Time View

জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। তিনজন সিনিয়র সদস্যের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিএনপি মহাসচিবের দেয়া চিঠিকে তারা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং উল্টো প্রচারণা চালাচ্ছে চিঠিটা ভুয়া উল্লেখ করে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘একটি দলের মহাসচিব কী সাদা কাগজে চিঠি দিতে পারেন?’

এদিকে এই চিঠি নিয়ে ক্লাব সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সদস্যদের মতামত হচ্ছে, ঠুনকো অজুহাতে তিনজন সিনিয়র সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করেছে। বিএনপি মহাসচিব তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারা নানা কথা বলে সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন! তাদের অভিমত, বিএনপির মত একটি দলের মাহসচিব যে কোনভাবেই চিঠি দিতে পারেন। তার দেয়া সই ও সীল ঠিক আছে কি না সেটা যাচাই করলেই তো সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আসলে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের মনোভাব কী, তারা আসলে কি চায় তা কারো বোধগম্য নয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা ও বোন রেহানা। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন আত্মগোপন করেন। সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত দু-দুবার ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে গ্রেফতার হন। এই সুযোগে ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ সভাপতি হন। এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব আইয়ুব ভুঁইয়া সাধারণ সম্পাদক হন। আরো কয়েকজনকে কমিটিতে কো-অপ্ট করেন। যাদের কো-অপ্ট করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই সিকদার, নয়া দিগন্তের যুগ্ম সম্পাদক ও বার্তা প্রধান মাসুমুর রহমান খলিলী, বিএফইউজের সহ-সভাপতি এ, কে, এম মহসিন।
হাসান হাফিজ বিএনপি-জামায়াত ফোরাম থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। আইয়ুব ভূঁইয়া আওয়ামী ফোরাম থেকে এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন>>> ৩ সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে প্রেসক্লাবকে মির্জা ফখরুলের চিঠি

প্রেসক্লাব গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি বছর ২৯ ডিসেম্বর দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল এবং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও তাই হবার কথা ছিল। সাংবাদিকদের সকল সংগঠনের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার ১৯শ সদস্যের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের সংগঠন বাচসাসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অথচ প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম নন মর্মে ১৬ নভেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজন করেন। সেই সভায় একতরভাভাবে নির্বাচন এক বছর পিছিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা প্রচার করেন সর্বসম্মতভাবে নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা তা নয়।

ওইদিন যা ঘটেছিল তা হচ্ছে সভার শুরুতে দৈনিক নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানী দাঁড়িয়ে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে বলতে চাইছিলেন, ‘জনাব সভাপতি গঠনতন্ত্রের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপনি এই সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন না’। তার বক্তব্য শেষ না হতেই সাঈদ খান, জিয়াউদ্দিন সাইমুম, মোশারফ হোসেন, খন্দকার আলমগীর, নাসির উদ্দিন শোয়েবসহ কতিপয় নতুন সদস্য তার দিকে তেড়ে আসেন। শুরু হয় হট্টগোল। এ সময় মঞ্চ থেকে কেউ একটি কথাও কেউ বলেননি। পরে সভা শুরু হলে একপক্ষের সব সদস্য বক্তব্য রাখেন। এতে অনেক নতুন সদস্য ছিলেন, যাদের ভোটাধিকার হয়নি। ভিন্নমতের কোন সদস্যকে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি। অথচ সভায় শওকত মাহমুদ, গোলাম মহিউদ্দিন খানের মত সিনিয়র সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এভাবেই নজিরবিহীন ঘটনার উদাহরণ সৃষ্টি করে ভোটে দিয়ে হ্যাঁ-না বলিয়ে একতরফাভাবে প্রস্তাবটি পাস করিয়ে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন>>> জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকদের মধ্যে সু-কৌশলে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি মহাসচিবকেও তোয়াক্কা করে না জাতীয় প্রেসক্লাব কমিটি

নওরোজ রিপোর্ট
Update Time : ১০:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। তিনজন সিনিয়র সদস্যের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিএনপি মহাসচিবের দেয়া চিঠিকে তারা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং উল্টো প্রচারণা চালাচ্ছে চিঠিটা ভুয়া উল্লেখ করে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘একটি দলের মহাসচিব কী সাদা কাগজে চিঠি দিতে পারেন?’

এদিকে এই চিঠি নিয়ে ক্লাব সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সদস্যদের মতামত হচ্ছে, ঠুনকো অজুহাতে তিনজন সিনিয়র সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করেছে। বিএনপি মহাসচিব তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারা নানা কথা বলে সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন! তাদের অভিমত, বিএনপির মত একটি দলের মাহসচিব যে কোনভাবেই চিঠি দিতে পারেন। তার দেয়া সই ও সীল ঠিক আছে কি না সেটা যাচাই করলেই তো সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আসলে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সদস্যদের মনোভাব কী, তারা আসলে কি চায় তা কারো বোধগম্য নয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা ও বোন রেহানা। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন আত্মগোপন করেন। সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত দু-দুবার ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে গ্রেফতার হন। এই সুযোগে ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ সভাপতি হন। এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব আইয়ুব ভুঁইয়া সাধারণ সম্পাদক হন। আরো কয়েকজনকে কমিটিতে কো-অপ্ট করেন। যাদের কো-অপ্ট করা হয়েছে, তারা হচ্ছেন বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই সিকদার, নয়া দিগন্তের যুগ্ম সম্পাদক ও বার্তা প্রধান মাসুমুর রহমান খলিলী, বিএফইউজের সহ-সভাপতি এ, কে, এম মহসিন।
হাসান হাফিজ বিএনপি-জামায়াত ফোরাম থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। আইয়ুব ভূঁইয়া আওয়ামী ফোরাম থেকে এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন>>> ৩ সাংবাদিকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে প্রেসক্লাবকে মির্জা ফখরুলের চিঠি

প্রেসক্লাব গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি বছর ২৯ ডিসেম্বর দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল এবং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও তাই হবার কথা ছিল। সাংবাদিকদের সকল সংগঠনের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার ১৯শ সদস্যের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইতিপূর্বে চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের সংগঠন বাচসাসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অথচ প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম নন মর্মে ১৬ নভেম্বর বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আয়োজন করেন। সেই সভায় একতরভাভাবে নির্বাচন এক বছর পিছিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে করার সিদ্ধান্ত নেন। তারা প্রচার করেন সর্বসম্মতভাবে নির্বাচন পিছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা তা নয়।

ওইদিন যা ঘটেছিল তা হচ্ছে সভার শুরুতে দৈনিক নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানী দাঁড়িয়ে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে বলতে চাইছিলেন, ‘জনাব সভাপতি গঠনতন্ত্রের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপনি এই সভায় সভাপতিত্ব করতে পারেন না’। তার বক্তব্য শেষ না হতেই সাঈদ খান, জিয়াউদ্দিন সাইমুম, মোশারফ হোসেন, খন্দকার আলমগীর, নাসির উদ্দিন শোয়েবসহ কতিপয় নতুন সদস্য তার দিকে তেড়ে আসেন। শুরু হয় হট্টগোল। এ সময় মঞ্চ থেকে কেউ একটি কথাও কেউ বলেননি। পরে সভা শুরু হলে একপক্ষের সব সদস্য বক্তব্য রাখেন। এতে অনেক নতুন সদস্য ছিলেন, যাদের ভোটাধিকার হয়নি। ভিন্নমতের কোন সদস্যকে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি। অথচ সভায় শওকত মাহমুদ, গোলাম মহিউদ্দিন খানের মত সিনিয়র সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এভাবেই নজিরবিহীন ঘটনার উদাহরণ সৃষ্টি করে ভোটে দিয়ে হ্যাঁ-না বলিয়ে একতরফাভাবে প্রস্তাবটি পাস করিয়ে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন>>> জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকদের মধ্যে সু-কৌশলে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে