ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

প্রসবের পর নবজাতককে টয়লেটের কমোডে ফেলে গেলেন মা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৯:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৪৩ Time View

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে টয়লেটের কমোডের ভেতর থেকে এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসা শেষে একজন নার্স তার বাসায় নিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। মায়ের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছি।’

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম দোলন বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় নারীরা। এ সময় তারা অবস্থান নেয় সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৬ তলার ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। হাসপাতালে ভর্তির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কোনো একসময় গর্ভবর্তী অজ্ঞাতপরিচয় নারী কারও সহযোগিতায় টয়লেটের ভেতরে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। কন্যা নবজাতক সন্তানটি তারা টয়লেটের কমোডের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় রাতে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টার দিকে সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে যান এক রোগীর স্বজন। তিনি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে বিষয়টি দায়িত্বরত আয়া রেশমাকে জানায়। রেশমা কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে সিনিয়র নার্সদের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সকালে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন সুস্থ আছে।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটিকে হাসপাতালের কোয়াটারের বাসায় নিয়ে যান সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা। তিনি কন্যা নবজাতকটিকে লালন পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে আছে ১৬ বছর বয়সের। নবজাতকটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েই লালন পালন শুরু করেছি। স্যারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাসায় নিয়ে এসেছি। বাসায় আনার পর থেকে সন্তানটি শুধু ঘুমাচ্ছে। আর খিদে লাগলে ঘুম ভেঙে কান্না করছে। তখন ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

প্রসবের পর নবজাতককে টয়লেটের কমোডে ফেলে গেলেন মা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
Update Time : ০৯:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে টয়লেটের কমোডের ভেতর থেকে এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসা শেষে একজন নার্স তার বাসায় নিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। মায়ের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছি।’

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম দোলন বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় নারীরা। এ সময় তারা অবস্থান নেয় সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৬ তলার ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। হাসপাতালে ভর্তির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কোনো একসময় গর্ভবর্তী অজ্ঞাতপরিচয় নারী কারও সহযোগিতায় টয়লেটের ভেতরে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। কন্যা নবজাতক সন্তানটি তারা টয়লেটের কমোডের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় রাতে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টার দিকে সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে যান এক রোগীর স্বজন। তিনি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে বিষয়টি দায়িত্বরত আয়া রেশমাকে জানায়। রেশমা কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে সিনিয়র নার্সদের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সকালে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন সুস্থ আছে।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটিকে হাসপাতালের কোয়াটারের বাসায় নিয়ে যান সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা। তিনি কন্যা নবজাতকটিকে লালন পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে আছে ১৬ বছর বয়সের। নবজাতকটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েই লালন পালন শুরু করেছি। স্যারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাসায় নিয়ে এসেছি। বাসায় আনার পর থেকে সন্তানটি শুধু ঘুমাচ্ছে। আর খিদে লাগলে ঘুম ভেঙে কান্না করছে। তখন ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছি।’