ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা! বৈছাআ ও বিএনপি নেতাদের সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, রংপুরে ছুটে এলেন সারজিস দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি – উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান টাকার বিনিময়ে ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছে ইসরায়েলিরা মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে সাব পোস্টমাস্টারসহ ২জনের মৃত্যু, নিখোঁজ-২ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে – পানি সম্পদ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশে নিন্দা ও প্রতিবাদ এনসিপি’র যুক্তরাজ্যে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ আগামী বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ভাবির কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮০ Time View

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আকন্দ
Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।