ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনায় ঢাকা জার্নালিস্ট কাউন্সিল এর শোক উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ২০ বার্ন ইনস্টিটিউটে রক্ত দিতে মানুষের ঢল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির শোক প্রকাশ উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত : আহতদের মেট্রোরেলে বহনে বগি রিজার্ভ হাসিনা-কাদেরের ঘনিষ্ঠ আ.লীগ নেতাদের সাথে বিএনপি নেতার ছবি ভাইরাল   শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক বার্তা উত্তরার মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত; নিহত ১, আহত ২০ কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর চকরিয়ায় হরতালের সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের বিক্ষোভ

ওয়েব টেলিস্কোপের নতুন ছবি প্রকাশ করলো নাসা

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭২ Time View

দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। টেলিস্কোপটি ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পৃথিবীর নিকটতম তারকা-গঠন অঞ্চলের একটি অত্যাশ্চর্য নতুন চিত্র ধারণ করেছে।

জেমস ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন। এটি ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য। পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি, যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মন্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট।

পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে এদোয়ার্দস্তেফান আবিষ্কার করেন। ইস্টার্ন টাইম সকাল ৬:০০ টায় (১০০০জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে এগুলো দেখা যাবে। ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুট (৬.৫ মিটার) এরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্র করে তৈরি করা হয়েছে। এর পূর্বসূরি হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালিতে কাজ করে। এটিকে সময়ের শুরুতে আরো কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে। মূল আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েক শ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ওয়েব টেলিস্কোপের নতুন ছবি প্রকাশ করলো নাসা

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। টেলিস্কোপটি ৩৯০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পৃথিবীর নিকটতম তারকা-গঠন অঞ্চলের একটি অত্যাশ্চর্য নতুন চিত্র ধারণ করেছে।

জেমস ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। এর ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন। এটি ১ হাজার ৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য। পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি, যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মন্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট।

পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে এদোয়ার্দস্তেফান আবিষ্কার করেন। ইস্টার্ন টাইম সকাল ৬:০০ টায় (১০০০জিএমটি) নাসার ওয়েবসাইটে এগুলো দেখা যাবে। ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুট (৬.৫ মিটার) এরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্র করে তৈরি করা হয়েছে। এর পূর্বসূরি হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালিতে কাজ করে। এটিকে সময়ের শুরুতে আরো কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরো ভালোভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে। মূল আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েক শ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য। জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে।