আনসারকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও হবেও না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- Update Time : ০৭:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ২১১ Time View
অপরাধীকে আটক, দেহ তল্লাশি ও মালামাল জব্দের ক্ষমতা আনসার ব্যাটালিয়নকে দেয়া হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, দেশের কোনো আইন অনুযায়ী আনসারকে এ ধরনের ক্ষমতা দেয়া যাবে না।
আজ বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন>>>সরকার এখন আনসারকে গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে: রিজভী
আনসার সদস্যদের পুলিশের মতো গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। আমি শুনতে পাচ্ছি আনসার পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভুল তথ্য, প্রোপাগান্ডা। আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়নি, দেওয়া হবেও না।
আনসার ব্যাটালিয়নকে গ্রেপ্তার বা আটকের ক্ষমতা দিয়ে আইন করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজ করতে হবে। এটি একটি প্রোপাগান্ডা। আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে রয়েছে। সেখানে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে।
আলাপকালে বিএনপির মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে বিএনপিকে বাধা দেওয়া হবে না। তবে বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে এ বিষয়ে মন্ত্রী মন্তব্য করেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
বিএনপির সমাবেশস্থল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ডিএমপির কমিশনার সাহেবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।’
বিএনপির মহাসমাবেশের ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সামনে রেখে জনগণের জান-মাল রক্ষায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে র্যাব। ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হবে। এ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে। ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
জামায়াতের সমাবেশ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা (জামায়াত নেতারা) যদি সমাবেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলেন তাহলে সমাবেশ করতে পারবেন। এখন তারা যদি জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি হাতে নেয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বসে থাকবে না।