ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
  • Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩৩৫ Time View

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।

Please Share This Post in Your Social Media

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকিং কার্যক্রম

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির. বাগেরহাট:
Update Time : ০৫:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে ৩ যুগ ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কৃষি ব্যাংকের সকল কার্যক্রম। যে কোন সময় ভবন ধসে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণাধীন উপজেলার জমিদার জিতেন্দ্র নাথ দাসের দ্বিতল বাস ভবনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ৩টি কক্ষে ১৯৭৬ সালে শুরু হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মোরেলগঞ্জ শাখার কার্যক্রম।

এ শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিলন কুমার লস্কর সহ প্রিন্সিপল অফিসার ৩ জন, সেকেন্ড অফিসার ১ জন, ফিল্ড অফিসার ৩ জন, অফিসার ক্যাশিয়ার ১ জন ও নিরাপত্তা প্রহরী রয়েছে ৩ জন।

২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়টি অবহিত এবং স্থান পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখোনো এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি।

ইংরেজ শাসন আমলে জমিদারি প্রথা পরিচালনার জন্য নির্মিত এ ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে ইট সুরকি পলেস্তরা খসে পড়ছে এ পর্যন্ত শতাধিক গ্রাহক সহ ৮-১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছে।

বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে সয়লাব হয়ে যায়। জরাজীর্ণ ভবনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিষধর সাপও দেখতে পাওয়া যায় দিনের বেলায় বিদুৎতের আলো জ্বালিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে নাজুক ভবনটির সাধারণ গ্রাহকরা ব্যাংকের ভিতরে লেনদেন করতে ঢুকতে ভয় পায়। আতংক নিয়ে ব্যাংকের কাজ শেষ করে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা।

ব্যাংকে সেবা নিতে আসা গ্রাহক তানিয়া আক্তার, অহিদুজ্জামান খান, আব্দুল হামিদ শেখ, সোহেল ফরাজী বলেন, ৬ বছর ধরে এ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়েছি।

লোন পরিশোধ করতে ব্যাংকে আসতে হয়। ব্যাংকে ঢুকে সার্বক্ষনিক ভয়ে থাকি। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ শাখায় ব্যবস্থাপক র মিলন কুমার লস্কর বলেন তিনি নিজেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় ।