ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদের স্মারকলিপি পেশ কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বৃদ্ধি বাসা থেকে প্রবেশপত্র আনতে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দি‌য়ে সহায়তা ক‌র‌লেন মান‌বিক পুলিশ ফেসবুকে ইসরাইলী পণ্য বিক্রির গুজব, নিরাপত্তাহীনতায় মালিক-কর্মচারীরা টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ছয় সহযোগী গ্রেফতার জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান অতিরিক্ত শুল্কে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি বেশি রংপুরে বিএনপিকর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতার নামে মামলা গাজায় সাংবাদিকসহ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৪৫ Time View

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আকন্দ
Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।