ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ গোপন কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে গুম তদন্ত কমিশন

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১২ Time View

রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। তবে কেন্দ্রগুলো কারা চালাতো, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি তদন্তের স্বার্থে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, আমরা র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পেয়েছি, যেটি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একটি ড্রেন ছাড়া সেখানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না।

জানা গেছে, কমিশন গুমের ৪০০টি অভিযোগ যাচাইবাছাই করেছে। যার মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র‌্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ ও ৬৮টি ঘটনায় অন্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

৮ গোপন কেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে গুম তদন্ত কমিশন

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৭:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় আটটি গোপন আটক কেন্দ্রের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। তবে কেন্দ্রগুলো কারা চালাতো, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি তদন্তের স্বার্থে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, আমরা র‌্যাব পরিচালিত একটি সেল পেয়েছি, যেটি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একটি ড্রেন ছাড়া সেখানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না।

জানা গেছে, কমিশন গুমের ৪০০টি অভিযোগ যাচাইবাছাই করেছে। যার মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র‌্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ ও ৬৮টি ঘটনায় অন্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

নওরোজ/এসএইচ