ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানির দ্বারপ্রান্তে অ্যাপল

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:২১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৯২ Time View

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক বিক্রির ক্ষেত্রে আগের মডেলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন ১৭ সিরিজ

সোমবার অ্যাপলের শেয়ারের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ আইফোন ১৭ ভালো বিক্রির তথ্য প্রকাশের পর চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে অ্যাপল।

এ মাইলফলক ছুঁলে অ্যাপল বিশ্বের তৃতীয় চার ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট-এর তথ্য অনুসারে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক বিক্রির ক্ষেত্রে আগের মডেলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন ১৭ সিরিজ। বাজারে আসার প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই এসব নতুন মডেলের বিক্রি আইফোন ১৬ সিরিজের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি হয়েছে এই দুই দেশে। অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬২.৯ ডলারে। ফলে কোম্পানির বাজারমূল্য হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার। এতে করে এখন মার্কিন এআইচিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে অ্যাপল।

সপ্তাহ শেষে অ্যাপলের শেয়ারকে নিজেদের ‘ট্যাকটিক্যাল আউটপারফর্ম লিস্ট’-এ যোগ করেছে বৈশ্বিক স্বাধীন বিনিয়োগ ব্যাংকিং ফার্ম ‘এভারকোর আইএসআই’। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, চলতি তিন মাসে অ্যাপল বাজারে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল ও ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস দেবে।

এভারকোর আইএসআই-এর বিশ্লেষকরা এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, “চীনে আইফোনের অনলাইন অর্ডার শুরুর সাম্প্রতিক উদ্যোগটি ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ প্রাথমিক ডেলিভারির সময়সূচির তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চীনে আইফোনের প্রাথমিক চাহিদা আরও বেশি।”

সেপ্টেম্বরে নিজেদের নতুন আইফোন সিরিজ উন্মোচন করেছে অ্যাপল, যার মধ্যে ছিল পাতলা আইফোন এয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কসংক্রান্ত উদ্বেগ থাকার পরও নিজেদের ফোনের দাম আগের মতোই ধরে রেখেছে কোম্পানিটি।

‘বি রাইলি ওয়েলথ’-এর প্রধান বাজার কৌশলবিদ আর্ট হোগান বলেছেন, “অ্যপল নিজেদের নতুন আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ বাজারে এনেছে, যেটি প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালো করছে… এখন কোম্পানির আইফোনের চাহিদার প্রবণতা স্পষ্টভাবেই ইতিবাচক দিকে রয়েছে।”

তবে, এ বছরের শুরুতে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কিছুটা কমেছিল। চীনে কঠিন প্রতিযোগিতা ও কোম্পানির বড় উৎপাদন কেন্দ্র চীন ও ভারতের মতো এশিয়ান অর্থনীতির দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক নীতি ঠেকানোর অজানা ভবিষ্যতের কারণে এমনটি হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

এদিকে, অগাস্টের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সামান্য বেড়েছে। এ উদ্যোগ অ্যাপলকে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক থেকে রক্ষা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩০ অক্টোবর ট্রেডিং বন্ধ হওয়ার পর নিজেদের ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানির দ্বারপ্রান্তে অ্যাপল

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
Update Time : ০৫:২১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সোমবার অ্যাপলের শেয়ারের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। কোম্পানিটির সর্বশেষ আইফোন ১৭ ভালো বিক্রির তথ্য প্রকাশের পর চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে অ্যাপল।

এ মাইলফলক ছুঁলে অ্যাপল বিশ্বের তৃতীয় চার ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট-এর তথ্য অনুসারে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক বিক্রির ক্ষেত্রে আগের মডেলকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে আইফোন ১৭ সিরিজ। বাজারে আসার প্রথম ১০ দিনের মধ্যেই এসব নতুন মডেলের বিক্রি আইফোন ১৬ সিরিজের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি হয়েছে এই দুই দেশে। অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬২.৯ ডলারে। ফলে কোম্পানির বাজারমূল্য হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার। এতে করে এখন মার্কিন এআইচিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার পর বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে অ্যাপল।

সপ্তাহ শেষে অ্যাপলের শেয়ারকে নিজেদের ‘ট্যাকটিক্যাল আউটপারফর্ম লিস্ট’-এ যোগ করেছে বৈশ্বিক স্বাধীন বিনিয়োগ ব্যাংকিং ফার্ম ‘এভারকোর আইএসআই’। প্রতিষ্ঠানটির ধারণা, চলতি তিন মাসে অ্যাপল বাজারে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল ও ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস দেবে।

এভারকোর আইএসআই-এর বিশ্লেষকরা এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, “চীনে আইফোনের অনলাইন অর্ডার শুরুর সাম্প্রতিক উদ্যোগটি ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ প্রাথমিক ডেলিভারির সময়সূচির তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় চীনে আইফোনের প্রাথমিক চাহিদা আরও বেশি।”

সেপ্টেম্বরে নিজেদের নতুন আইফোন সিরিজ উন্মোচন করেছে অ্যাপল, যার মধ্যে ছিল পাতলা আইফোন এয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কসংক্রান্ত উদ্বেগ থাকার পরও নিজেদের ফোনের দাম আগের মতোই ধরে রেখেছে কোম্পানিটি।

‘বি রাইলি ওয়েলথ’-এর প্রধান বাজার কৌশলবিদ আর্ট হোগান বলেছেন, “অ্যপল নিজেদের নতুন আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণ বাজারে এনেছে, যেটি প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালো করছে… এখন কোম্পানির আইফোনের চাহিদার প্রবণতা স্পষ্টভাবেই ইতিবাচক দিকে রয়েছে।”

তবে, এ বছরের শুরুতে অ্যাপলের শেয়ারের দাম কিছুটা কমেছিল। চীনে কঠিন প্রতিযোগিতা ও কোম্পানির বড় উৎপাদন কেন্দ্র চীন ও ভারতের মতো এশিয়ান অর্থনীতির দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক নীতি ঠেকানোর অজানা ভবিষ্যতের কারণে এমনটি হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

এদিকে, অগাস্টের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সামান্য বেড়েছে। এ উদ্যোগ অ্যাপলকে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক থেকে রক্ষা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩০ অক্টোবর ট্রেডিং বন্ধ হওয়ার পর নিজেদের ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।