ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পুলিশ হেফাজতে রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামী এসআই আকবরের জামিনে মুক্তি মৌচাকে হাসপাতালের পার্কিংয়ে গাড়ি থেকে ২ মরদেহ উদ্ধার কাকে ভোট দেবেন প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীনতায় ৪৮.৫০ শতাংশ ভোটার মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক‍্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ কুয়ালালামপুর পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা হত্যা মামলায় সোলায়মান সেলিম রিমান্ডে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা বিএনপি সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়: তারেক রহমান চাঁদাবাজির মামলায় একাত্তর টিভির সাবেক প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু গ্রেপ্তার সাগর-রুনি হত্যা, ১২০ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৩ Time View

নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সানাউল্লাহ।

এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।

এদিন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বশন্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। ‘না’ ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না। পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না’ ভোট প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারাদেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৮:০৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সানাউল্লাহ।

এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে না ইভিএম। তবে ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।

এদিন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ চূড়ান্ত করতে মুলতবি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরপিও সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে স্বশন্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে ৩০০ আসনের ফলাফল বাতিল করতে পারবে। ‘না’ ভোটের বিধান আনা হয়েছে। যেখানে একজন প্রার্থী থাকবে। বিনাভোটে কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ফলাফলে সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে না। পুনরায় ভোট হবে। জোটগতভাবে নির্বাচন করলে দলগুলোকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও তদন্ত করে এমপি পদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না’ ভোট প্রয়োগ করেছিল। ওই সময় জারি করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ৩১(৫)(বিবি)-তে এ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধান অনুযায়ী ব্যালট পেপারের সবশেষ প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (ঢ)। তখন সারাদেশে মোট প্রদত্ত ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ পড়েছিল।