ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদি আরবের ‘স্লিপিং প্রিন্স’ আল ওয়ালিদ শিলং থেকে ‘নব্য গডফাদার’ এসেছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সালাহউদ্দিনকে ‘নব্য গডফাদার’ বলায় এনসিপি’র মঞ্চ ভাঙচুর, সভা পণ্ড স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী যাত্রাবাড়ীর আবাসিক হোটেলে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার জামায়াতের অনেক দায় কাধেঁ নিয়েছে বিএনপি – টুকু টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগের ফাঁদ’ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া দুই প্রতারক গ্রেপ্তার ফ্যাসিস্টরা জোট হয়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে চক্রান্ত করছে: মির্জা ফখরুল রংপুরে গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ; নিহত ১, আহত ২৫ এবার লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির

২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু
  • Update Time : ০৮:০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২২৪ Time View

দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১২ আগষ্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাঁকে খালাসের আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার নিযুক্তীয় কৌশুলী ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।

মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইষ্ট লন্ডনের অষ্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, লালসালু, পাকবন্ধু ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭২ সনের ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসেন বলে ধৃষ্টতাপূর্ন জঘন্য মন্তব্য করেন। এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনই অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগনকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তার পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে, রাজাকারেরা তার মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে বলে তারেক রহমান তাঁর ওই বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতি সহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে, এতে ২০ কোটি টাকার মান হানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্তীয় কৌশুলীর কোন ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেফতারী পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু
Update Time : ০৮:০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪

দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১২ আগষ্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাঁকে খালাসের আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার নিযুক্তীয় কৌশুলী ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।

মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইষ্ট লন্ডনের অষ্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, লালসালু, পাকবন্ধু ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭২ সনের ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে আসেন বলে ধৃষ্টতাপূর্ন জঘন্য মন্তব্য করেন। এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনই অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগনকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তার পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে, রাজাকারেরা তার মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে বলে তারেক রহমান তাঁর ওই বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তাঁর পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতি সহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে, এতে ২০ কোটি টাকার মান হানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গনমাধ্যমকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্য প্রনোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানীমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্তীয় কৌশুলীর কোন ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেফতারী পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।