আসামিপক্ষের আইনজীবী বললেন
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাখা হবে ঢাকা সেনানিবাস সাবজেলে

- Update Time : ১২:০১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
- / ২১৭ Time View
আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-অপহরণ, নির্যাতন, খুন ও জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসে স্থাপিত সাবজেলে রাখা হবে। আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেনা কর্মকর্তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার সকালে সেনা হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর তিনি এ কথা বলেন।
সারোয়ার বলেন, ‘৮ অক্টোবর তিনটি মামলায় ট্রাইব্যুনালে তিনটি আদেশ হয়েছে। সেই তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর এসব কর্মকর্তাকে অ্যাটাচ (হেফাজতে নেওয়া) করে সেনা কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ সেনা সদরের হেফাজতে রাখা হয়। আজ ওই তিনটি মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই তারিখে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন তারা। আমরা তিনটি আবেদন করেছি। এর মধ্যে জামিন আবেদন ২০ নভেম্বর শুনানি হবে। এছাড়া প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন ও তাদের যেন সাব জেলে রাখা হয়।’
ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় স্থাপিত সাবজেল নিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘এ ব্যাপারটি জেল কর্তৃপক্ষ দেখবেন। এখন তাদের সেনানিবাসে যে সাব জেল (উপ কারাগার) ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেকনিক্যালি প্রসিকিউশন বলেছে গ্রেপ্তার। তবে আমরা বলি আত্মসমর্পণ। কারণ তারা আজ সকালে স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি। প্রশাসনিক সুবিধার জন্য তাদের একটা গাড়িতে আনা হয়েছে। নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধার কারণে এই সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে আত্মসমর্পণ করেছেন।’
কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে এই সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে থাকা কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পরে সবুজ রঙের প্রিজন ভ্যানটি ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
১৫ সেনা কর্মকর্তা হলেন- র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়