ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মির্জা আব্বাস

হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার ২৪টা বাজায়ে দিসে

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৫ Time View

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের অবস্থা আরও খারাপ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেছেন, “দেশের অবস্থা হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে।”

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেক কিছু আছে বলার মতো, কিন্তু আমার এই অবস্থান থেকে কথাগুলো বলতে পারছি না। কোন দিক দিয়ে দেশের ক্ষতি হয়েছে, কারা কীভাবে কোথায় আত্মসাৎ করেছে? কত টাকা লুট করেছে, কত টাকা খেয়েছে- এই কথাগুলো কিন্তু বলতে পারি। প্রমাণসহ সবকিছু আছে। কিন্তু আমি এখন বলতে চাই না, আমার অবস্থান থেকে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন অরাজকতায় বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যেখানেই খুন, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি; সেখানেই বিএনপির নাম বলছে একটি দল। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে রং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সামনে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমরা খুব ভালো বুঝি।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেকে বলেন ৩৬ দিনের আন্দোলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে একবার, ১৯৭১ সালে। লক্ষ লক্ষ শহিদের জীবনের বিনিময়ে।”

তিনি বলেন, “এখন অনেকেই বলে, ‘এটা আগে, ওটা আগে’; ‘এটা না হলে ওইটা করা যাবে না’। যেটা হওয়া উচিত সেটা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে প্রশাসনের লোক হোক, সাধারণ মানুষ হোক, শেখ হাসিনা হোক কিংবা অন্য কেউ হোক, তাদের বিচারটা করা দরকার খুব জরুরি।”
তিনি বলেন, বিচারকাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয় না। বিচার এবং নির্বাচন পাশাপাশি চলবে। দুটো পাশাপাশি চলতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু বিচারের আগে নির্বাচন হওয়া যাবে না, এগুলো বলবেন না।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের যেমন খায়েশ আছে ক্ষমতায় যাওয়ার, আমাদেরও তেমন ইচ্ছা আছে। যদি জনগণ ভোট দেয়, ক্ষমতায় যাব; যদি না দেয় মেনে নেব আপনাদের। কিন্তু আমরা ভোট চাই। এই ভোটের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য গত ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন করেছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল আছে, তারাও চায় না নির্বাচনটা হোক। তারা নির্বাচনের কথা মুখে বলে, কিন্তু অন্তরে তারা নির্বাচনের কথা বলে না। কারণ তাদের ধারণা জন্মেছে, নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় বসবে। কিছু কিছু দল নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য ছুতা বের করে। বিএনপি কখনো দেশ শাসন করেনি, করবেও না। বিএনপি দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে, করবে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ভারতে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। দেশে একটা অরাজক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে নির্বাচন হতে দেবে না, এমন একটা ভাবসাব তাদের ভেতরে আছে।

আলোচনা সভায় জাসাসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে জাসাসের শিল্পীরা অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

মির্জা আব্বাস

হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার ২৪টা বাজায়ে দিসে

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১২:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকার দেশের অবস্থা আরও খারাপ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেছেন, “দেশের অবস্থা হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে।”

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেক কিছু আছে বলার মতো, কিন্তু আমার এই অবস্থান থেকে কথাগুলো বলতে পারছি না। কোন দিক দিয়ে দেশের ক্ষতি হয়েছে, কারা কীভাবে কোথায় আত্মসাৎ করেছে? কত টাকা লুট করেছে, কত টাকা খেয়েছে- এই কথাগুলো কিন্তু বলতে পারি। প্রমাণসহ সবকিছু আছে। কিন্তু আমি এখন বলতে চাই না, আমার অবস্থান থেকে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভিন্ন অরাজকতায় বিএনপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যেখানেই খুন, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি; সেখানেই বিএনপির নাম বলছে একটি দল। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে রং দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের সামনে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমরা খুব ভালো বুঝি।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেকে বলেন ৩৬ দিনের আন্দোলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে একবার, ১৯৭১ সালে। লক্ষ লক্ষ শহিদের জীবনের বিনিময়ে।”

তিনি বলেন, “এখন অনেকেই বলে, ‘এটা আগে, ওটা আগে’; ‘এটা না হলে ওইটা করা যাবে না’। যেটা হওয়া উচিত সেটা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে প্রশাসনের লোক হোক, সাধারণ মানুষ হোক, শেখ হাসিনা হোক কিংবা অন্য কেউ হোক, তাদের বিচারটা করা দরকার খুব জরুরি।”
তিনি বলেন, বিচারকাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয় না। বিচার এবং নির্বাচন পাশাপাশি চলবে। দুটো পাশাপাশি চলতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু বিচারের আগে নির্বাচন হওয়া যাবে না, এগুলো বলবেন না।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনাদের যেমন খায়েশ আছে ক্ষমতায় যাওয়ার, আমাদেরও তেমন ইচ্ছা আছে। যদি জনগণ ভোট দেয়, ক্ষমতায় যাব; যদি না দেয় মেনে নেব আপনাদের। কিন্তু আমরা ভোট চাই। এই ভোটের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য গত ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন করেছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল আছে, তারাও চায় না নির্বাচনটা হোক। তারা নির্বাচনের কথা মুখে বলে, কিন্তু অন্তরে তারা নির্বাচনের কথা বলে না। কারণ তাদের ধারণা জন্মেছে, নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় বসবে। কিছু কিছু দল নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য ছুতা বের করে। বিএনপি কখনো দেশ শাসন করেনি, করবেও না। বিএনপি দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে, করবে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ভারতে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। দেশে একটা অরাজক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। দেশে নির্বাচন হতে দেবে না, এমন একটা ভাবসাব তাদের ভেতরে আছে।

আলোচনা সভায় জাসাসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে জাসাসের শিল্পীরা অংশ নেন।